পাতা:সেক্‌সপিয়র কৃত গ্রন্থ হইতে উদ্ধৃত অপূর্ব্বোপাখ্যান.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শেষ সুখ পরম সুখ।
১৭৯

য়ের বিষয় ব্যক্ত কর, আকার ইঙ্গিতে প্রেম সংস্পর্শের চিহ্ণ প্রকাশ পাইয়াছে। অনন্তর হেলেনা জানুদ্বয় পাতন পূর্ব্বক উপবিষ্ট হইয়া করপুটে আপনার প্রেমাসক্তি স্বীকার করিলেন এবং লজ্জা নম্রমুখে তাঁহার নিকট এই অপরাধের নিমিত্ত ক্ষমা প্রার্থনা করিতে লাগিলেন। পরে অভীষ্ট নায়কের সহিত সমাগমের অসম্ভাবনা দর্শাইয়া কহিলেন আমার এই প্রেম মনোমধ্যেই বিলীন হইবে যেহেতু আমি যে রোসিলনাধিপের প্রতি অনুরাগিণী ইহা তাঁহার বিদিত হয় নাই। অবশেষে আপনার প্রণয় যে কেবল ভ্রমবিলসিত, এতদ্বিষয়ে এক দৃষ্টান্ত দেখাইয়া কহিলেন হে মহারাণি ভারতবর্ষীয় লোকেরা স্বভাবতঃ রশ্মি বিতরণ কারি রবির আরাধনা করিয়া মনে করে ভানুমান অর্চ্চনায় প্রসন্ন হইয়া প্রসাদস্বরূপে প্রভা বিস্তার করিতেছেন কিন্তু সূর্য্য কিছুই জানেন না কেহ পূজা করে কি না তদীয় দ্যুতি প্রকৃতির নিয়মে অবনীর উপর বিস্তীর্ণ হয়। আমার প্রেমেরও অবিকল এই ভাব। রাজ্ঞী এ সমস্ত বাক্য আকর্ণনানন্তর তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন তুমি কি সম্প্রতি পেরিস্ নগরে যাত্রা করিবার মানস করিয়াছ? হেলেনা কহিলেন হাঁ ঈদৃশ সংকল্প আছে, যৎকালে আপনার অদূরে দণ্ডায়মানা হইয়া রাজদূত লাফুর প্রমুখাৎ সম্রাটের শারীরিক অসুস্থতার বার্তা শ্রবণ করি সেই সময়ে আমার তথায় যাইবার বাসনা হয়। রাণী জিজ্ঞাসা করিলেন রাজনন্দনের প্রণয়ানুরোধে সেখানে গমনের মানস করিয়াছিলে কি না? হেলেনা কাপট্য পরিহার পূর্ব্বক সরল বচনে উত্তর দিলেন হাঁ রাজকুমারের প্রতি অনুরাগই আমার ঐ রূপ মানস উৎপাদন করে নচেৎ কোথায় পেরিস্ নগর কোথায় ঔষধ কোথায় সম্রাট এ সকল বিষয়ের চিন্তা আমার চিত্তে উদিত হইবার সম্ভাবনা কি? রাজ্ঞী এতাবৎ কাল পর্য্যন্ত সদসৎ কিছুই না কহিয়া ক্রমাগত কেবল যুবতীর প্রীতির বৃত্তান্ত শ্রবণ করিতেছিলেন এক্ষণে সটীক জানিতে