পাতা:সেক্‌সপিয়র কৃত গ্রন্থ হইতে উদ্ধৃত অপূর্ব্বোপাখ্যান.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮০
সেক্সপিয়র।

চাহিলেন হেলেনার সন্নিধানে যে ঔষধ আছে তাহাতে সম্রাটের পীড়া শান্তির সম্ভাবনা কি না। অনন্তর অন্তঃকরণ নিবিষ্ট করিয়া চিন্তা করাতে স্মরণ হইল তরুণীর জনক জেরার্দো-দি-নারবণ যে সকল ঔষধ প্রস্তুত করেন তন্মধ্যে ঐ ভেষজ সর্ব্বাপেক্ষা মহৎ, উক্ত ভিষক্ মৃত্যুকালে কন্যাকে প্রদান করেন। পরে হেলেনার জনকের মুমুর্ষু কালে তাঁহার নিকট কন্যা গ্রহণ করত যে অঙ্গীকার করিয়াছিলেন রাণীর স্মৃতিপথে তাহা উদিত হইল এবং বিবেচনা করিতে লাগিলেন বিধাতা বুঝি তরুণীর সৌভাগ্য এবং ফ্রান্সাধিপতির জীবন এই ভেষজের অধীন করিয়া দিয়াছেন নচেৎ ইতিপূর্ব্বে এই কুমারীর মনে তাদৃক ভাবের উদয় কেন হইবেক। অতএব সযত্ন হইয়া অবিলম্বে যুবতীকে পেরিস নগরে গমন করিতে অনুমতি দিলেন এবং সমভিব্যাহারে উপযুক্ত লোকজন প্রেরণ করত সর্ব্ব প্রকারে আনুকূল্য করিলেন। হেলেনাও সানন্দ মনে রাজ্ঞীকে প্রণাম করিয়া বিদায় হইলেন।

 যুবতী পেরিস্ নগরে উপস্থিত হইয়া লাফু দূতের সাহায্যে সম্রাট্ সমীপে গমনের অনুমতি প্রাপ্ত হইলেন কিন্তু কৃতকার্য্য হইবার নিমিত্ত তাহাকে সাতিশয় যত্ন করিতে হইল। ফ্রান্সাধিরাজ প্রথমতঃ স্ত্রীলোকের ভেষজ সেবন করিতে সম্মত হইলেন না অতএব তরুণী নরনাথকে আত্ম পরিচয় জ্ঞাপন করিলেন আমি জেরার্দো-দি-নারবণ ভিষকের নন্দিনী। ঐ বিখ্যাত বৈদ্যের নাম ও খ্যাতি প্রতিপত্তি মহারাজের বিদিত ছিল এবং কামিনী যখন কহিতে লাগিলেন আমি মহারাজকে যে ঔষধ প্রদান করিব আমার পিতা বহু দর্শন ও দূর বিবেচনা পূর্ব্বক এই ভেষজ প্রস্তুত করিয়া মৃত্যুকালে আমাকে দিয়া গিয়াছেন যদিস্যাৎ দুই দিবসের মধ্যে আরোগ্য করিতে না পারি মহারাজ আমার প্রাণ নষ্ট করিবেন তখন সম্রাট্ ঔষধ সেবনে সম্মত হইলেন। হেলেনা সম্রাটের নিকট পীড়া শান্তি করিতে পারিলে