পাতা:সেক্‌সপিয়র কৃত গ্রন্থ হইতে উদ্ধৃত অপূর্ব্বোপাখ্যান.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শীতকালের উপন্যাস।
৮৭

দর্শনে তৎপ্রতি ইহাঁর সাতিশয় প্রীতি জন্মিয়াছে পরন্তু উভয়ে পরস্পর এতাদৃশ অনুরক্ত যে অন্যোন্যের চুম্বন অবলোকন করিয়া স্পষ্ট বুঝিতে পারি না কে অধিক অনুরাগী। যাহা হউক। যদিস্যাৎ এই যুবা আমার কন্যার পাণি গ্রহণ করেন তাহা হইলে অপর যে কি লাভ করিবেন তাহা স্বপ্নেও কখন অবলোকন করেন নাই। এ কথার তাৎপর্য্য এই যে মেষপাল পরিদিতার গাত্রাভরণের কিয়দংশ যদিও বিক্রয় দ্বারা আপনার অর্থ সঞ্চয় করিয়াছিল তথাপি তনয়ার পরিণয় নিমিত্ত অনেক ভাগ রক্ষা করিয়াছিল।

 পরে পলিক্‌সেনিস্ পুত্রকে কহিলেন ওহে যুবক তোমার হৃদয় যেন কোন অপূর্ব্ব পদার্থে পরিপূর্ণ প্রায় বোধ হইতেছে কেননা এই মহোৎসবের আমোদে তোমার ঔৎসুক্য মাত্র দেখিতে পাই না। আমরাও তরুণ সময়ে প্রণয়িনী সমভিব্যাহারে বিহার রসে রসিক হইতাম তাহাতে নায়িকাকে অনেক২ দ্রব্য সামগ্রী প্রদান করিতে হইত এস্থলে এত ক্রীড়া সাধন পরম রমণীয় দ্রব্যজাত বিক্রয় হইতেছে তুমি আপন মনোমোহিনী বিলাসিনীর নিমিত্ত কিছুই ক্রয় করিলে না?

 যুবরাজ কোন প্রকারে জানিতে পরেন নাই যে জনকের সহিত কথা কহিতেছেন অতএব অবাধে প্রতিবচন প্রদান করত কহিলেন হে বৃদ্ধ আমার প্রেয়সী সমান্য দ্রব্যের প্রয়াসিনী নহেন। ইনি আমার নিকট যে বস্তুর অভিলাষ করেন আমার হৃদয় মধ্যে তাহা জাগরূক হইতেছে। তদনন্তর পরিদিতার প্রতি নেত্রপাত করিয়া কহিলেন প্রিয়ে আমার বোধ হয় এই প্রাচীন প্রাজ্ঞ পুরুষ কোন সময় প্রেমরসে রসিক ছিলেন অতএব প্রণয়ের মর্ম্মজ্ঞ প্রযুক্ত ইহাঁকে সাক্ষি করিয়া মুক্তকণ্ঠে একটী কথা বলি শ্রবণ কর। তৎপরে পরিদিতার পাণি গ্রহণাঙ্গীকারে প্রত্যক্ষ সাক্ষী হইবার নিমিত্ত সম্মুখবর্ত্তি অপরিচিত পুরুষকে কহিলেন মহাশয় আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হইয়া অকপট বচনে