৮
আমি তখন এম, এ ক্লাসের জন্যে এরিয়োপ্যাজিটিকার নোট লিখছি, মিলিয়ে দেখবার জন্যে বই পড়তে হচ্ছিল, ইণ্টরন্যাশনল্ মেলিফ্লুয়স অ্যাব্রাক্যাড্যাব্রা,আর পাত কেটে পরিশিষ্ট দেখছিলুম থ্রী হণ্ড্রেড্ ইয়র্স্ অফ ইণ্ডোইণ্ডিটর্মিনেশন্ বইখানার। লাইব্রেরি থেকে আনাতে দিয়েছি অনোম্যাটোপিইয়া অফ্টিণ্টিন্যান্যুলেশন্। এমন সময় হুড়মুড় করে এসে ঢুকল আমাদের সে।
আমি বললুম, হয়েছে কী, স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়েছে না কি।
ও বললে, নিশ্চয় দিত, যদি সে থাক্ত। কিন্তু কী কাণ্ড বাধিয়েছ বলো দেখি।
কেন কী হোলো।
আমাকে নিয়ে এ পর্য্যন্ত বিস্তর আজগবি গল্প বানিয়েছ। ভাগ্যে আমার নামটা দাওনি, নইলে ভদ্রসমাজে মুখ দেখানো দায় হোত। দেখলুম, পুপুদিদির মজা লাগছে তাই সহ্য করেছি সব। কিন্তু এবার যে উল্টো হোলো।
কেন কী হোলো বলোই না।
তবে শোননা। পুপুদিদি কাল গিয়েছিল সিনেমায়। মোটরে উঠতে যাচ্ছে, আমি পিছন থেকে এসে বললুম, দিদিমণি, তোমার গাড়িতে আমাকে তুলে নিয়ে যাও। তারপরে কী আর বলব দাদা, একেবারে হিষ্টিরিয়া।
কী রকম।
হাতে চোখ ঢেকে চেঁচিয়ে উঠে দিদি বললে, যাও যাও, গাঁজাখোরের
৭৫