পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ অধ্যায় ] সোক্রেটসের কয়েকটীি মত ԳS অধিক প্রতি লাভ করিয়া থাকেন। সোত্ৰগটস। এই বচনটীর খুব প্ৰশংসা করিতেন ও উহা প্ৰায়ই র্তাহার মুখে শুনা যাইত “আপনার শক্তি অনুসারে অমর দেবগণকে বলি প্ৰদান কর।” Hesiod, lVorks and Days, 3:36. (Mem. I. 3.) ধৰ্ম্মবিজ্ঞানের কূট প্রশ্নের আলোচনায় তাহার রুচি হইত না ; তিনি নিজে শুধু ইহাই চাহিতেন, যে তাতার জীবনটী যেন পূর্ণরূপে ধৰ্ম্মানুগত হয় ; এবং অপরকেও নিয়ত এই উপদেশ দিতেন, যে তাহারাও যেন দৈহিক সুখ-কামনা ত্যাগ করিয়া আজীবন এই সাধনায় নিযুক্ত থাকে। (৮) মানবাত্মা । সোক্রিাটীসের এই দৃঢ় প্রত্যয় জন্মিয়াছিল, যে মানবাত্মায় ঈশ্বরের স্বরূপ বর্তমান ; তাহা না হইলে মানুষ কখনই দৈব প্রেরণােব অধিকারী হইত না । আত্মার অমরত্বে তাহার কি অবিচলিত বিশ্বাস ছিল, পাঠকগণ “আত্মসমর্থন” ও “ফাইডোন” পড়িলেই তাহা বুঝিতে পরিবেন। কেহ কেহ মনে করেন, “আত্মসমর্থনে” সংশয়ের ছায়াপাত হইয়াছে ; সোত্ৰাটস হয় তো জীবনের প্রায় শেষ মুহুর্তেও আত্মা অমর কি না, এ সম্বন্ধে সন্দেহ উৰ্ত্তীর্ণ হইতে পারেন নাই। কিন্তু একথার উত্তরে আমরা বলিতে চাই, তিনি বিচারালয়ে তর্কস্থলে যাহা বলিয়াছেন, তাহাতে এমত বুঝা যায় না, যে বাস্তবিক তঁহার চিত্তে আত্মার অমরত্ব বিষয়ে বিচিকিৎসা বিদ্যমান ছিল । তিনি প্রশ্নটীকে নানা দিক হইতে আলোচনা করিয়াছেন, এইটুকু বলাই সঙ্গত। তৎপরে, ইহাও অনেকে বলেন, যে “ফাইডোনের” যুক্তিগুলি সোক্রোটসের নয়, প্লেটাের নিজের ; ইহা মানিয়া লাইলেও কিছু আসিয়া যায় না। ঐ গ্রন্থের শেষভাগে সোত্ৰাটীসের আন্তিম দশার যে জীবন্ত, অত্যুজ্জ্বল ও মনোমুগ্ধকর চিত্র অঙ্কিত হইয়াছে, তাহা খাটি ঐতিহাসিক বলিয়া সকলেই একবাক্যে স্বীকার করিয়া থাকেন। উহাও যদি আমাদিগকে বলিয়া না দেয়, আত্মার অমরত্বে তাহার বিশ্বাস কি অটল ও কি গভীর ছিল, তবে আমাদিগের মনের আঁধার কিছুতেই ঘুচিবার নয়। preparamespawpawanpushdiehrewsiero