পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম অধ্যায় ] সোেক্রাটসের পূর্ববৰ্ত্তী দার্শনিকগণ S ኛ (ሎ পদার্থ হইতে সম্পূর্ণরূপে পৃথক ও ভিন্ন লক্ষণাক্রান্ত বা বিভিন্ন নহে। অধিকন্তু ক্ষুদ্র ও বৃহৎ, সমুদায় আত্মাই সদৃশ ; পক্ষান্তরে কোন পদার্থই অন্য পদার্থের সদৃশ নহে; কিন্তু প্ৰত্যেক স্বতন্ত্র পদার্থই, উহা যে-যে পদার্থের সর্বাপেক্ষা অধিক অংশভাক, সুস্পষ্ট তাহাই ছিল, এবং তা হাই আছে।” (৩) “গ্রীকের ভবন ও বিলয় শব্দ ব্যবহার করিয়া ভ্ৰান্তিতে পতিত হইতেছে ; কেন না, কিছুই উৎপন্ন বা বিলীন হয় না, কিন্তু বিদ্যমান পদার্থসমূহ মিশ্রিত ও পৃথক হইয়া থাকে। অতএব, যদি তাহারা ভবনকে মিশ্রণ ( বা সংশ্লেষ ) ও বিলয়কে পৃথক হওয়া ( বা বিশ্লেষ ) বলিয়া আখ্যাত করে, তবেই ঠিক হয়।” এখন দেখা যাক, আনাক্ষাগারাসের দশনের মূল তত্ত্ব কি কি । প্ৰতিপাদ্য বিষয় । পামে নির্ডীস বলিলেন, জড় অপরিবর্তনীয় ; অথচ আমাদিগের চক্ষুর সম্মুখে জগৎ নিত্যই পরিবর্তনশীল ও বিনশ্বর বলিয়া প্রতীয়মান হইতেছে। আনাক্ষাগারাসও এম্পেড’কীসের ন্যায় এই দুইয়ের সামঞ্জস্তসাধনের প্রয়াস পাইয়াছেন । তিনি পামেনিডীসের সিদ্ধান্তগুলি গ্ৰহণ করিয়া তাহার নূতন ব্যাখ্যা প্ৰদান করিয়াছেন। বিশ্বজগৎ পূৰ্ণ ; উহার হ্রাসবৃদ্ধি নাই ; উহা অবিনাশী। প্ৰাকৃতজন যাহাকে উৎপত্তি ও বিনাশ কহে, তাহা বস্তুতঃ সংশ্লেষ ও বিশ্লেষ। ইহার সপক্ষে একটা যুক্তি এই, যে “প্রত্যেক পদার্থেই প্ৰত্যেক পদার্থের অংশ বিদ্যমান।” ইহা অবিশ্বাস্য নহে, কেন না, OBBDOB DBBBS S BDBBD DBBDBBDBDBD KuD DBDSS DD DDD DD D অণুপরিমাণ হউক না কেন, ইহাতে প্ৰত্যেক পদার্থের অংশ থাকিবেই থাকিবে। “প্ৰত্যেক পদাৰ্থ” কি ? ইহা বিপরীত ধৰ্ম্মসমূহ। আনাক্ষাগারাস এমন কথা বলেন নাই, যে, অগ্নিতে জল বা জলে অগ্নি আছে; তঁহার অভিপ্ৰায় এই, যে, যাহা উষ্ণ, তাহাতেও কিঞ্চিৎ শীতলত থাকে। তিনি বলিয়াছেন, তুষারও কৃষ্ণবর্ণ। শুভ্ৰ তুষারে কৃষ্ণতাগুণ না থাকিলে উহ। জলে রূপান্তরিত হইতে পায়িত না ।