পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৭৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় অধ্যায়। ] আত্মোৎকর্ষ-সাধন ԳՖS কারণ, সে সৰ্ব্বদাই প্ৰেমাস্পদের নিকটে একটা চুম্বন বা প্রেমের এইরূপ অন্য কোনও নিদর্শন ভিক্ষা ও যান্ত্রিজ্ঞা করিতে করিতে ठांशब সঙ্গে সঙ্গে গমন করিতেছে। আমি যদি নিঃসঙ্কোচে কথাটা বলি, তোমরা আশ্চৰ্য্য হইও না; কেন না, একে মন্ত আমাকে উন্মাদিত করিয়া তুলিতেছে, তাহাতে আবার যে-প্ৰেম আমাতে বসতি করে, তাহা তদ্বিপরীত প্রেমের বিরুদ্ধে নিৰ্ভয়ে কথা বলিতে আমাকে উত্তেজিত করিতেছে। আমার মনে হয়, যে, যে-ব্যক্তি কেবল রূপের প্রতি মনকে নিবদ্ধ রাখিয়াছে, সে, যে করা দিয়া একখানি ক্ষেত্ৰ গ্ৰহণ করিয়াছে, তাহারই মত ; কেন না, ক্ষেত্ৰখানির মূল্য যাহাতে বৰ্দ্ধিত হইতে পারে, তৎপক্ষে ঐ ব্যক্তি কিছুই যত্ন করে না; কিন্তু তাহার চেষ্টা থাকে, শুধু কি করিয়া সে উহা হইতে যত অধিক সম্ভব শস্য আহরণ করিবে। পক্ষান্তরে, প্রীতিই যাহার লক্ষ্য, সে বরং তাহারই মত, যাহার নিজস্ব ক্ষেত্ৰ আছে, কারণ, সে নানা দিক হইতে যথাসাধ্য ধন আহরণ করিয়া প্ৰেমাস্পদের মূল্য বাড়াইয়া দেয়। পুনশ্চ, যে-প্ৰেমাস্পদ জানে, যে সে রূপের প্রভা বিস্তার করিয়াই প্রেমিকের হৃদয়ে রাজত্ব করিবে, সে যে অন্য সমস্তই উপেক্ষা করিবে, ইহাই সম্ভব ; কিন্তু যে-কেহ বুঝিয়াছে, যে সুন্দর ও মহৎ না হইলে সে প্রেমিকের প্রেম রক্ষা করিতে পাবিবে না, সে ববং ধৰ্ম্মোপার্জনে যত্নশীল হওয়াই কৰ্ত্তব্য বিবেচনা কবে । কিন্তু যে-জন প্ৰেমাস্পদকে উত্তম মিত্র করিতে প্ৰয়াস পায়, ইহাই তাহাব পক্ষে পরম শ্ৰেয়ঃ, যে সে বাধ্য হইয়া ধৰ্ম্মের অনুসরণ করে ; কেন না, যে স্বয়ং পাপকৰ্ম্মে লিপ্ত রহিয়াছে, সে যে সহচরকে শ্ৰেয়ের পথ দেখাইবে ; অথবা যে নির্লজ্জ ও অসংযত, সে যে প্ৰেমাস্পদকে সংযমী ও ব্রীড়াশীল কবিয়া তুলিবে, তাহা সম্ভবপর নহে।”