পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামলাতে হয় বাসন্তীকে-হাসিমুখে। নেশার খেয়াল সব স্বীকার করে নিতে হয়। নইলে যে কোন লাভ নেই বাসন্তী তা জানে। রাগারগি করলে, নেশার ঝোক ব্যাহত হলে, মদ গিলে রাজীব আর বাড়ী আসবে না-একজনের ঘরে গিয়ে উঠবে যেখানে পয়সা দিয়ে অবাধে ফাঁতি করা যায়। ওসব বন্দ খেয়াল রাজীবের কোনদিন নেই। কিন্তু নেশা করলে কতগুলি পাগলামি তার আসবেই । ঘরে তাকে নিয়ে পাগলামি করতে পেলেই, তার চলে । সে সুযোগ না দিয়ে তাকে নেশা করে বাজারের মেয়েলোকের ঘরে যেতে বাধ্য করার মত বোকা বাসন্তী নয় । কিন্তু বাড়াবাড়ি হলে তো একটা বোঝাপড়া চাই। চুপ করে থাকলে চলবে কেন ? বাসন্তী বলে, তোমার মুখে রোজ গন্ধ পাচ্ছি। এত বাড়াচ্ছ কেন ? রোজ তুমি মাতাল হয়ে এসে দাপট চালাবে-আমার শরীরটা কি লোহা দিয়ে গড় ? সকালে বেলা বাড়লে রাজীবকে খেতে দিয়ে বলে । রাজীবের কৃত্রিম উন্মত্ততার কোন সমালোচনাই বাসন্তী করে না । রাজীব নেশার ঘোরে যা বলেছে যা 65भूछ ऊांठे जछे ! মাথা হেঁট করে খায় রাজীব । বিবেক তার এখন অনুতাপে গলে যেতে চাইছে। রাত্রে কি ভাবে নিৰ্য্যাতন করেছে বাসন্তীকে কিছুই সে ভুলে যায় নি। রাত্রে সব সয়ে গেছে বাসন্তী। সকালে তাকে চা খাবার দিয়েছে। কে জানে S ዓ8