পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোঝাপড়ার কারবার করতে বেশ চালাক হয়ে উঠেছে न एकां । ঃঃ আমাদের সুখ-দুঃখের কথা বলছিলাম। তোমার আমার কথা । মিছিমিছি কেন যে আমরা পর হয়ে থাকি ? প্ৰাণ খুলে দুটো কথা কইলেও তো প্ৰাণটা হালকা হয় ? আমরা ” একজন কি সিদ কেটেছি আরেকজনের সুখের ভাণ্ডারে ? তখন ভরা দুপুর। বৈশাখী নিদাঘ দুঃখী আশাকে রোজ এসময় খানিকক্ষণ ঘুম পাড়িয়ে রাখে। তার সুখের ভাণ্ডারে না হোক দুপুরবেলার ঘুমের ভাণ্ডারে সাধনা আজ সিদ কেটেছে। নতমুখে মেঝেতে হাত রেখে বসেছিল আশা । তার চোখ দিয়ে টপ টপ করে কয়েকফোটা জল মেঝেতে ঝরে পড়তে দেখে সাধনা ভাবে,-সেরেছে ! তবে মিছেই সে এতদিন সখিত্ব করেনি বাসন্তীর সঙ্গে । মনে অতি ক্ষীণ একটু দ্বিধার ভাব জাগে মাত্র, তাতে শেষপৰ্য্যন্ত আটকায় না । এগিয়ে গিয়ে আঁচল দিয়ে সে চোখ মুছিয়ে দেয়। আশার। কিন্তু না বলে একটা মিষ্টি কথা, না দেয়। তাকে লজ্জা পাবার সুযোগ । সেই অহঙ্কারী আশা আজি আচমকা কেঁদে ফেলেছে কিন্তু কিছুই যেন আসে যায় না। তাতে । যে আঁচল দিয়ে তার চোখ মুছিয়েছে সেই আঁচল দিয়েই সে তার ঘাড় আর কণ্ঠার কাছ থেকে ময়লা ঘষে তুলে U”○