পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এতক্ষণে সাধনার মুখে মৃদু একটু হাসি দেখা দেয়। সেই সকালে তেলের অভাবে বেগুণ ভাজার বদলে বেগুণ পোড়া দিয়ে দু’টি খুদ মেশানো চালের ভাত খেয়ে উপার্জনের ফিকির খুজতে বেরিয়ে রাখাল রাত প্ৰায় দশটায় বাড়ী ফিরেছে, এটা কি এতক্ষণে তার খেয়াল হয়েছে ? মনে পড়েছে বেকারির খাটুনিতে শ্ৰান্ত ক্লান্ত আধমরা মানুষটাকে একটু হাসি দিয়ে অভ্যর্থনা করাও দরকার ? তার হাসি দেখে এই সন্দেহই জাগতে থাকে রাখালের মনে । নিজেকে সে গুটিয়ে নিতে থাকে নিজের মধ্যে । আর সহ্যু হয় না । বোমার মত ফেটে গিয়ে আজ সাধনাকে চরমভাবে বুঝিয়ে দেবে যে তার কাছে এরকম ফাঁকা হাসি আর নেকামির কোন দাম নেই । সাধনা শুধু মুখ ফুটে একটা মিষ্টি কথা বলুক ! তাই যথেষ্ট মনে করবে রাখাল । সাধন হাসিমুখেই বলে, আমি কিছুই ভুলি নি । গা জ্বলে গিয়েছিল তোমার কথা শুনে । বোমার মত ফাটার বদলে রাখাল বিমিয়ে যায়-তাই नांकि ! किछू 6डा दव्न नि !

গা জ্বলে গিয়েছিল বলেই বলি নি। বললে ঝগড়া হত। সেদিন বলি নি, আজ বলছি। হারটা বুঝি বেচেছিলে তুমি ? গয়ণ আমার, তুমি বেচাবে কি রকম ? আমার গয়ণারও মালিক নাকি তুমি যে ওরকম প্ৰতিজ্ঞা করা ? সেবারও আমার গয়ণ আমি বেচেছিলাম, এবারও আমিই

R O