পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাড়ু, মোয়া তাক্ত সন্দেশ ইত্যাদিতে প্ৰায় পনের বিশ রকমের e a CR | বলে, প্ৰসাদ খান । বিশুর মার রঙ একটু কালো। দেহটি যেন সযত্নে কুঁদে গড়া। কে বলবে তার পাঁচটি ছেলেমেয়ে, বড় মেয়ের বয়স সতর আঠার এবং সম্প্রতি মেয়েটির একটি ছেলে হওয়ায় সে দিদিমা হয়েছে । পয়সারও অভাব নেই-অন্ততঃ এতকাল মোটেই ছিল না-খাটবার লোকেরও অভাব নেই, তবু প্ৰাণের উল্লাসে বিশুর মা সংসারের পিছনে কি খাটুনি খাটে । আর কত নিয়মনীতি মেনে চলে দেখে রাখাল বুঝতে পেরেছে। তার দেহের ঠাট কিসে এরকম বজায় আছে । শুধু ভাল খাওয়া ভাল থাকার জন্য নয়। দেহ মনের সমস্ত অকারণ ক্ষয় ক্ষতি নিৰ্য্যাতন বর্জন করার জন্য । সতীশের সঙ্গে যখন তখন ঝগড়া করে কিন্তু মানুষটা সে সোজা সহজ সংযমী-সংস্কার কুসংস্কার গ্ৰাম্যতা সভ্যতা নিয়ম নীতি সমেত নিজের জীবনে মাসগুল । স্বামীর সঙ্গে কলহ তার কাছে সংসারধর্ম ঠিকমত পালন করারই একটা আনুসঙ্গিক ব্যাপার, তার বেশী কিছু নয় । ব্ৰত পূজা পার্বণের উপলক্ষে বিশুর মার উপবাস লেগেই আছে । আজ বা এ মাসে এটা খেতে নেই, কাল বা ওমাসে ওটা খেতে হয়, এসব নিয়ম পালনের ব্যাপারেও সে খুক কড়া । প্ৰথম প্ৰথম অবজ্ঞার হাসি ফুটত রাখালের মুখে। RS