পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ তা রইবে। এমনি তো খেতে জোটে না, ফের উপোল দিয়ে কি হয় ? ৪ নিয়ম আছে, মানতে হয় । তাই বোধ হয় হবে। রোজ পেট ভরা শুধু শাকায় জুটলেও মাঝে মাঝে উপোস দিলে উপকার হয়। একদিন তাই সকলের জন্যই এ নিয়ম হয়েছিল, রাজরাণী বা চাকরাণীর মধ্যে তফাৎ করা দরকার হয় নি। আজ মায়াদের পেট ভরে না। কিন্তু নিয়মটা রয়ে গেছে । নীচে নেমে বিশুর মাকে দেখে রাখাল আজ অবাক হয়ে যায়। বেনারসী পরেছে দেখে নয়, গায়ে তার গয়ণার বহর দেখে। কোন অঙ্গই বুঝি বাদ যায় নি, মোটা মোটা দামী দামী গায়ণ চাপিয়েছে নানা প্যাটার্ণের। এত সোণাও আঁটে একটা মানুষের গায়ে । অথচ, আশ্চৰ্য্য এই, এতদিন তার গায়ে গায়ণার একান্ত অভাবটাই খাপছাড়া মনে হত রাখালের । হাতে ক’গাছা চুরি। আর গলায় সাধারণ একটি হার ছাড়া কোথাও সোণা তার চোখে পড়ে নি। আজ পৰ্যন্ত ! সতীশের বেশ দেখে বোঝা যায় কর্তা গিন্নি কোথাও যাবে। বিশুর মা বলে, কুটুমবাড়ী যামু, গাড়ীর লেইগা খাড়াইয়া আছি। এমন মানুষ আর সংসারে পাইবা না । সময় মত খেয়াল কইরা গাড়ীটা আনতে দিব সতীশ বলে, দেই নাই ? কখন লোক পাঠাইছি । হারামজাদ রসিকট কোন কামের না । NO)