পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাইনে দিই না-টাকাটা বাবার। নইলে সত্যি একবার চটতে হত। মুখের ওপর এমন করে কাউকে ধিক্কার দিতে আছে ? ঃ ধিক্কার কিসের ? প্ৰভা একটু হেসে বলে, আমরা জন্ম জন্ম দাসীর জাত, মেয়েমানুষ । ধিক্কার দেবার এ কৌশল আমরা জানি । জ্বর গায়ে রাধতে গিয়ে আমরা যখন বলি, না রোধে উপায় কি, সবাই খাবে কি-তখন সেটা পুরুষদের ধিক্কার দিয়েই বলি। ঃ তোমাকে রাধতে হয় নাকি ? বলেই রাখাল গুম খেয়ে যায় । আগের বার ধিক্কার না। দিয়ে থাকলেও এ কথাটা রীতিমত খোচা দেওয়া হয়ে গেছে। বড়লোকের মেয়েকে এ প্রশ্ন করার একটাই মানে হয় । মুখখান সত্যই মান হয়ে যায় প্রভার । এত উজ্জল তার গায়ের রঙ যে মুখে একটু মেঘ ঘনালেই মনে হয় দুৰ্যোগ ঘনিয়েছে । রাখাল আবার বলে, কিছু মনে করো না প্ৰভা ৷ প্ৰভা বলে, কেন মনে করব না ? আমার বাবা কি খুব বেশী বড় লোক ? ? বার শো টাকা মাইনে পান । আজকের দিনে বার শো টাকা পেলে কেউ বড়লোক হয় ? টাকার ভাবনায় রাত্রে বাবার ঘুম হয় না তা জানেন ? রাখাল বিব্রত হয়ে বলে, আমি এমনি বলেছি কথাটা । একটা রাধুনি তো আছে, তোমরা না রাখলেও চলে, এর বেশী কিছুই বলতে চাইনি। ዓ8