পাতা:সোনার তরী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী। শুধু তরঙ্গের মত ভাঙ্গিয়া পড়িব তোমার তরঙ্গ পানে, বাচিব মরিব শুধু, আর কিছু করিব না ! দাও সেই প্রকাও প্রবাহ, যাহে এক মুহূর্তেই জীবন করিয়া পূর্ণ, কথা না বলিয়া উন্মত্ত হইয়া যাই উদাম চলিয়া ! মানসীরূপিনী ওগো, বাসনা-বাসিনী, আলোকবসনা ওগো, নীরবভাষিণী, পরজন্মে তুমি কিগো মূৰ্ত্তিমতী হয়ে জন্মিবে মানব গৃহে নারীরূপ লয়ে অনিন্দ্য সুন্দরী ? এখন ভাসিছ তুমি আনন্তের মাঝে ; স্বর্গ হতে মৰ্ত্ত্যভূমি করিছ বিহার ; সন্ধ্যার কনক বর্ণে রাঙ্গিছ অঞ্চল ; উষার গলিত স্বর্ণে গড়িছ মেখলা ; পুর্ণ তটিনীর জলে করিছ বিস্তার, তলতল চুল ছলে ললিত যৌবন খানি ; বসন্ত বাতাসে চঞ্চল বাসনা ব্যথা সুগন্ধ নিশ্বাসে করিছ প্রকাশ ; নিস্থপ্ত পূর্ণিমা রাতে নির্জন গগনে, একাকিনী ক্লাস্ত হাতে বিছাইছ দুগ্ধশুভ্র বিরহ শয়ন । । শরৎ প্রত্যুষে উঠি করিছ চয়ন