পাতা:সোনার তরী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানস-সুন্দরী । । &१ শেফালি, গাঁথিতে মালা, ভুলে গিয়ে শেষে, তরুতলে ফেলে দিয়ে, আলুলিত কেশে গভীর অরণ্য ছায়ে উদাসিনী হয়ে বসে থাক ; ঝিকিমিকি আলো ছায়া লয়ে কম্পিত অঙ্গুলি দিয়ে বিকাল বেলায় বসন বয়ন কর বকুল তলায় ! অবসন্ন দিবালোকে কোথা হতে ধীরে ঘন পল্লবিত কুঞ্জে সরোবর তীরে । করুণ কপোত কণ্ঠে গাও মুলতান ! কখন অজ্ঞাতে আসি ছয়ে যাও প্রাণ সকৌতুকে ; করি দাও হৃদয় বিকল, অঞ্চল ধরিতে গেলে পালাও চঞ্চল কলকণ্ঠে হাসি’, অসীম আকাজক্ষ রাশি জাগাইয়া প্রাণে, দ্রুতপদে উপহাসি মিলাইয়া ষাও নভোনীলিমার মাঝে । কখনো মগন হয়ে আছি যবে কাজে স্থলিত-বসন তব শুভ্র রূপখানি নগ্ন বিদ্যুতের আলো নয়নেতে হানি চকিতে চমকি? চলি যায় !—জানালায় একেলা বসিয়া যবে আঁধার সন্ধ্যায়,— মুখে হাত দিয়ে, মাতৃহীন বালকের মত, বহুক্ষণ র্কাদি, স্নেহ আলোকের তরে ; ইচ্ছা করি, নিশার আঁধার স্রোতে মুছে ফেলে দিয়ে যায় স্বষ্টিপট হতে