পাতা:সোনার তরী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬ সোনার তরী। শীর্ণ গালে হাত দিয়ে নত করি শির রাজ্যসুদ্ধ বালবৃদ্ধ ভেবেই অস্থির। ছেলের ভুলেছে খেলা, পণ্ডিতেরা পাঠ, মেয়েরা করেছে চুপ–এতই বিভ্রাট! সারি সারি বসে গেছে কথা নাই মুখে, চিন্তা যত ভারি হয় মাথা পড়ে ঝুকে। ভূ ই ফোঁড়া তত্ত্ব যেন ভূমিতলে খোজে, সবে যেন বসে’ গেছে নিরাকার ভোজে ! মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস ছাড়িয় উৎকট হঠাৎ ফুকারি উঠে—“হিং টিং ছট্‌ !” স্বপ্লমঙ্গলের কথা অমৃত সমান, গোঁড়ানন্দ কবি ভণে, শুনে পুণ্যবান !

চারিদিক হতে এল পণ্ডিতের দল, অযোধ্যা কনোজ কাঞ্চী মগধ কোশল ; উজ্জয়িনী হতে এল বুদ্ধ-অবতংস— কালিদাস কবীন্দ্রের ভাগিনেয়বংশ । মোটা মোটা পুথি লয়ে উলটায় পাত ঘন ঘন নাড়ে বসি, টিকিমৃদ্ধ মাথা ! বড় বড় মস্তকের পাকা শস্তক্ষেত বাতাসে দুলিছে যেন শীর্ষ-সমেত ! কেহ শ্রুতি, কেহ স্মৃতি, কেহ বা পুরা কেহ ব্যাকরণ দেখে, কেহ অভিধান ;