পাতা:সোনার তরী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেতে নাহি দিব । Գ > মাতৃদুগ্ধ-পরিতৃপ্ত স্থখনিদ্রারত সদ্যোজাত সুকুমার গোবৎসের মত নীলাম্বরে শুয়ে —দীপ্ত রৌদ্রে অনাবৃত যুগযুগান্তরক্লাস্ত দিগন্তবিস্তৃত r ধরণীর পানে চেয়ে ফেলিকু নিশ্বাস । কি গভীর দুঃখে মগ্ন সমস্ত আকাশ, সমস্ত পৃথিবী ! চলিতেছি যতদূর শুনিতেছি একমাত্র মৰ্ম্মণস্তিক সুর _ “যেতে আমি দিব না তোমায় !” ধরণীর প্রাস্ত হতে নীলাভ্রের সর্বপ্রান্তর্তীর ধ্বনিতেছে চিরকাল অনাদ্যস্ত রবে “যেতে নাহি দিব ! যেতে নাহি দিব !” সবে কহে “যেতে নাহি দিব !” তৃণ ক্ষুদ্র অতি তারেও বাধিয়া বক্ষে মাতা বসুমতী এ কহিছেন প্রাণপণে “যেতে নাহি দিব !” আয়ুক্ষেীণ দীপমুখে শিখা নিব-নিব’ – আঁধারের গ্রাস হতে কে টানিছে তারে, কহিতেছে শতবার “যেতে দিব না রে ” এ অনন্ত চরাচরে স্বর্গমর্ত্য ছেয়ে সব চেয়ে পুরাতন কথা, সব চেয়ে গভীর ক্ৰন্দন “যেতে নাহি দিব !” হয়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায় ! চলিতেছে এমনি অনাদিকাল হতে ।