পাতা:সোনার তরী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হুহু করে তীব্রবেগে চলে যায় সবে পূর্ণ করি বিশ্বতট আৰ্ত্ত কলরবে । সম্মুখ উৰ্ম্মিরে ডাকে পশ্চাতের ঢেউ “দিবনা দিবনা যেতে”—নাহি শুনে কেউ, নাহি কোন সাড়া ! চারিদিক হতে আজি অবিশ্রাম কৰ্ণে মোর উঠিতেছে বাজি সেই বিশ্ব-মৰ্ম্মভেদী করুণ ক্ৰন্দন মোর কন্যাকণ্ঠস্বরে । শিশুর মতন বিশ্বের অবোধ বাণী । চিরকাল ধরে’ যাহা পায় তাই সে হারায়, তবু ত রে শিথিল হল না মুষ্টি, তবু অবিরত সেই চারি বৎসরের কন্যাীি - মত অক্ষুঃ প্রেমের গৰ্ব্বে কহিছে সে ডাকি “যেতে নাহি দিব” । স্নানমুখ, অশ্রু-আঁখি, দণ্ডে দণ্ডে পলে পলে টুটিছে গরব তবু প্রেম কিছুতে না মানে পরাভব,— তবু বিদ্রোহের ভাবে রুদ্ধ কণ্ঠে কয় “যেতে নাহি দিব।” যতবার পরাজয়