পাতা:সোনার তরী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q8 সোনার তরী। বিশ্বময় । আজি যেন, পড়িছে নয়নে দুখানি অবোধ বাহু বিফল বাধনে জড়ায়ে পড়িয়া আছে নিখিলেরে ঘিরে, স্তব্ধ সকাতর। চঞ্চল স্রোতের নীরে পড়ে’ আছে একখানি আচঞ্চল ছায়া,— অশ্রবৃষ্টিভরা কোন মেঘের সে মায়া ! তাই আজি শুনিতেছি তরুর মৰ্ম্মরে এত ব্যাকুলতা ; আলস ঔদাস্তাভরে মধ্যাস্তুের তপ্তবায়ু মিছে খেলা করে। শুষ্ক পত্র লয়ে ; বেলা ধীরে যায় চলে’ ছায়া দীর্ঘতর করি’ অশখের তলে । মেঠো সুরে কাদে যেন আনন্তের বঁাশি বিশ্বের প্রান্তর মাঝে ; শুনিয়া উদাসী বসুন্ধর বসিয়া আছেন এলোচুলে । দূরব্যাপী শস্তক্ষেত্রে জাহ্নবীর কূলে একখানি রৌদ্রপীত হিরণ্য-অঞ্চল । বক্ষে টানি দিয়া ; স্থির নয়নশীল । দূর নীলাম্বরে মগ্ন ; মুখে নাহি বাণী । দেখিলাম তার সেই ম্লান মুখখানি সেই দ্বারপ্রান্তে লীন, স্তব্ধ মৰ্ম্মাহত মোর চারি বৎসরের কন্যাটির মত । ১৪ কাৰ্ত্তিক, ১২৯৯ ;