পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌন্দৰ্য্যতত্ত্ব বিষয়ে ভারতীয় বৈষ্ণবশাস্ত্রের মত। ৮৫ হেন মধ্যে রসশেখর ভগবানই একমাত্ৰ বিষয়ালম্বন; ভক্তগণ আশ্রয়াবলম্বন, এবং মুরলীনাদ্দাদি উদ্দীপনবিভাব। সুতরাং ভক্তিশাস্ত্ৰমতে অখিলরসামৃতমুক্তি শ্ৰীকৃষ্ণ যাবতীয় ভক্তিরসের মূল কারণ। ভক্তিরসের বিষয় ভগবান। তাই ভগবদর্শন ব্যতীত ভক্তিলাভ হওয়া অসম্ভব। ভক্তির বিষয়কে ছাড়িয়া ভক্তি কখনই অঙ্কুরিত হইতে পারে না। “বক্ততা ও উপদেশ” এ বিষয়টি অতি সুন্দরভাবে ব্যক্ত করা হইয়াছে, - “ভক্তির আধার। তিনি, তাহার সঙ্গেই ভক্তির যোগ । তঁহাকে না। পাইলে আমার প্রাণে ভক্তি লাভ হইতে পারে না। যেমন মনুষ্যের প্রাণে অপত্যস্নেহ আছে, যতদিন মনুষ্য সন্তানের মুখ না দেখে, ততদিন সেই অপত্য মোহ কি, তাহা যেমন জানিতে পারে না । অপরের সন্তান দেখিলে তাহার প্রাণে এক প্ৰকার ভালবাসার উদয় হইতে পারে, ভাব হইতে পারে। কিন্তু তাহ অপত্যমেহ নয়। সন্তানের মুখ না দেখিলে যেমন অপত্যস্নেহ জন্মে না, সেইরূপ ভক্তবৎসল সেই পরমেশ্বরকে না পাইলে, র্তাহার প্রসন্ন মুখ না দেখিলে, ভক্তিলাভ হইতে পারে না । যে বৃত্তির যে বিষয়, তাহা না পাইলে সেই বৃত্তির বিকাশ হইতে পারে না। ভক্তি বৃত্তির বিষয় পরমেশ্বর, তাহাকে লাভ করিতে না পারিলে প্ৰাণে ভক্তির উদয় হয় না।” শ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃতে অতি সংক্ষেপে ভক্তিরসতত্ত্ব ব্যাখ্যাত হইয়াছে। আমরা উক্ত গ্ৰন্থরাজ হইতে কতিপয় পংক্তি নিয়ে উদ্ধৃত করিলাম :- “সাধন ভক্তি হৈতে হয় রতির উদয় । রতি গাঢ় হৈলে তার প্ৰেম নাম হয় ৷ ভিদ্যতে হৃদয় গ্রস্থিশিছদ্যন্তে সৰ্ব্বসংশয়াঃ । ক্ষীয়ন্তে চান্ত কৰ্ম্মালি তম্মিনু দুষ্টে পরাবরে ॥৮ ৷৷ দ্বিতীয় মুণ্ডক, দ্বিতীয় খণ্ড ।