পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७ ] যুগেই সর্বপ্ৰথমে পঞ্জিকা ও যজ্ঞ প্ৰণালীর উৎকর্ষসাধনের চেষ্টা রীতিমত আরব্ধ হইয়াছিল। পণ্ডিতপ্রবর তিলকের মতে অধিকাংশ ঋকই খ্রিঃ পুঃ ৪৫০০ শতাব্দীতে রচিত হইয়াছে। প্রফেসার ব্লুমফিলড, মুসো বাৰ্থ, ডাক্তার বুলার প্ৰভৃতি পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ ও অল্পাধিক পরিমাণে মহামতি তিলকের যুক্তির সারবত্তা স্বীকার করিয়াছেন। পণ্ডিতপ্ৰবর ডাক্তার জেকবি ও প্ৰায় তদনুরূপ সিদ্ধান্তেই উপনীত হইয়াছেন । মহামতি তিলকের মত কোন প্রকারে অযৌক্তিক বলা যাইতে পারে না । • বেদ রচনার কাল খিঃ পূঃ অন্ততঃ ৪৫০০ বৎসর ধরা হইলে বেদ যে পৃথিবীর আদি গ্ৰন্থ এ বিষয়ে দ্বিধা থাকিতে পারে না। যুহুদী জাতির প্ৰাচীন ধৰ্ম্মকাহিনী ( Old Testament ), মিশরদেশের মৃতদিগের Kifa ( The Book of the Dead), (frei, Gitfos isfavo ( The code of Hammurabi ), of GiffSS CETTİÇg Tsi ( Zend Avesta ), এবং চীনদেশীয় কনফিউসিয়াসের মূল্যবচন ( Texts of • Confucius) প্ৰভৃতি বেদের অনেক পরবত্তী সময়ের গ্ৰন্থ। উপনিষদাবলী খি পুঃ ২০০০ বৎসর অপেক্ষা প্রাচীন। গোন্ডষ্টকার প্রভৃতি অধিকাংশ পণ্ডিতই পাণিনিকে বুদ্ধদেবের পূর্ববৰ্ত্তী বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। স্বনামধন্য বঙ্কিমচন্দ্ৰ বলেন যে খ্রিীঃ পূঃ দশম বা একাদশ শতাব্দী পাণিনির সময় বলা হইলে বেশী বলা হয় না। অধিকাংশ পণ্ডিতই এই মতের পক্ষপাতী। পাণিনিতে “মহাভারত” “যুধিষ্ঠির” “অৰ্জ্জুন”, “নকুল” “সহদেব” প্রভৃতি নাম পাওয়া যায়। সুতরাং মহাভারত পাণিনির পূর্বতন। বঙ্গের উজ্জ্বলরত্ন বঙ্কিমচন্দ্র খ্রিঃ পুঃ ১৫৩০ শতাব্দী কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। র্তাহার মতে ভারতযুদ্ধের অত্যন্ন পরে মহাভারত রচিত হইয়াছে। অধিকাংশ