পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌন্দৰ্য্যতত্ত্ব সম্বন্ধে সাধারণ আলোচনা। ଈର অনুরাগ বিদ্যমান আছে। সুন্দর জিনিস দেখিবামাত্ৰ মানুষ আকৃষ্ট হইয়া পড়ে, মানুষের চিত্ত স্বতঃই সৌন্দৰ্য্যের প্রতি ধাবিত হয়। • শুধু তাহাই নহে, সৌন্দৰ্য্য স্পাহার প্রেরণায় মানুষ সৌন্দৰ্য্য সৃষ্টি করিয়া থাকে। কোন কোন পণ্ডিত সৌন্দৰ্য্যবোধের মৌলিকত্ব স্বীকার করিতে প্ৰস্তুত নহেন। ডারুইন, স্পেনসার প্রভৃতি বিবৰ্ত্তনবাদিগণ এই শ্রেণীর আন্তর্গত। জীবন সংগ্রামে সৌন্দৰ্য্য ও সৌন্দৰ্য্যানুভূতির কোন আবশ্যকতা না থাকিলেও, বিহগের মধুর কাকলী ও সঙ্গীত ধারা, বিবিধ মনোমোহন নৃত্যভঙ্গী, অঙ্গের লাবণ্য, পুচ্ছ ও পালকের বৈচিত্ৰ্য- যৌন-নিৰ্বাচনের ফল বলিয়া ডারুইন প্রচার করিয়াছেন। আমরা ইতিপূৰ্ব্বে প্ৰদৰ্শন করিতে চেষ্টা করিয়াছি যে সৌন্দর্ঘ্যের উৎপত্তি যৌন-নিৰ্বাচনবাদের সাহায্যে ব্যাখ্যাত হইতে পারে না । হারবাট স্পেনসারের মত এই যে শিশুর ক্রীড়া-স্পাহা বিবৰ্ত্তিত হইয়া সৌন্দৰ্য্যস্পতারূপে পরিণত হইয়াছে। জীবন রক্ষার জন্য যতটুকু শক্তির প্রয়োজন, তাহা অপেক্ষা অধিক শক্তি মানুষের আছে। এই অতিরিক্ত শক্তি ক্রীড়াস্পৃহারূপে প্ৰকাশ পাইয়া থাকে। এই ক্রীড়াস্পৃহাই বিবৰ্ত্তিত হইয়া সৌন্দৰ্য্যম্পুহারূপে পরিণত তয় । এইমত দ্বারা সৌন্দৰ্য্যাম্প্রহার উৎপত্তির যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা হইতে পারে, এরূপ বোধ হয় না। ডাক্তার সালি প্ৰভৃতি প্ৰবীণ পণ্ডিতগণের ইহাই মত। সুতরাং সৌন্দৰ্য্যম্পুহা স্বাভাবিক বলিয়া স্বীকার করা ভিন্ন গত্যন্তর নাই । এস্থলে জিজ্ঞাসা করা যাইতে পারে যে মানুষের সৌন্দৰ্য্যজ্ঞান স্বাভাবিক হইলে সৌন্দৰ্যবিষয়ে মানুষের মধ্যে এত মতভেদ লক্ষিত হয় কেন ? কোন স্ত্রীলোকের পদতল ছোট না হইলে চীনদেশীয়গণ তাহাকে সুন্দরী বলিয়া মনে করেন না । পাছে পা বড় হয়, সেইজন্য চীনদেশীয় রমণীগণ বাল্যকাল হইতে এক প্রকার লৌহপিাদুকা ব্যবহার