পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о о cजोन्ली-ऊङ्। করিয়া থাকেন। ইংরাজগণ দীর্ঘ গ্ৰীবা ও কটা চক্ষু সুন্দরীর লক্ষণ বলিয়৷ মনে করেন । কিন্তু ভারতবাসিগণের সৌন্দৰ্য্যবিষয়ক ধারণা অন্যরূপ । র্তাহারা মৃগালোচন, গজগমন প্ৰভৃতি সৌন্দর্য্যের লক্ষণ বলিয়া মনে করেন। এই প্রশ্নের উত্তরে আমাদের বক্তব্য এই যে উপকরণ রাশির যথোচিত সন্নিবেশের উপর সৌন্দৰ্য্য নির্ভর করে ; এ বিষয়ে কি চীনদেশবাসী, কি ইংলণ্ডবাসী, কি ভারতবাসী-কাহারো মতভেদ থাকা পরিদৃষ্ট হয় না। তবে কোন স্থলে কেহ সুশৃঙ্খলা ও সুগঠন দেখিতে পান, কেহ দেখিতে পান না । ইহা অনেক পরিমাণে শিক্ষা, জন্মগত সংস্কার, শারীরিক ও মানসিক গঠনের উপর নির্ভর করে। কোন বিষয়ে মতভেদ লক্ষিত হইলেই তাহার স্বাভাবিকত্ব নষ্ট হয় না । মানুষের পানাহারের ইচ্ছা, সুখেচ্ছ স্বাভাবিক বলিয়া পণ্ডিতমাত্ৰই স্বীকার করিয়া থাকেন। কিন্তু পানাহার ও সুখের বিষয় সম্বন্ধে মানুষের মধ্যে বিশেষ মতভেদ লক্ষিত হইয়া থাকে। তাই বলিয়া কি বলিতে হইবে যে আমাদের পানাহারের ইচ্ছা, সুখেচ্ছা স্বাভাবিক নয় ? (২) প্ৰকৃতি ও ললিতকলা । সৌন্দৰ্য্যের হিসাবে প্ৰকৃতি শ্রেষ্ঠ কি ললিতকলা শ্রেষ্ঠ-ইহা লইয়া পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের মধ্যে অনেক বাদানুবাদ হইয়াছে। কাণ্ট, সোপেনহর প্রভৃতি পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ প্ৰকৃতির সৌন্দৰ্য্যের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করিয়াছেন। পক্ষান্তরে সেলিঙ, হিগেল প্ৰভৃতি দার্শনিকগণ ললিতকলার শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করিয়াছেন। র্যাহারা প্ৰকৃতির সৌন্দৰ্য্যের শ্রেষ্ঠত্বের পক্ষপাতী, তঁহাদের যুক্তি এই যে শিল্পকলার গতি, জীবন ও ব্যক্তিত্ব নাই। শিল্পকলা মনুষ্যরচিত। জড় প্ৰকৃতিতে জীবন থাকুক বা নাই থাকুক, উহা পরিবর্তনশীল, উহাতে গতি লক্ষিত হয়। জীব প্ৰকৃতিতে গতি, জীবন