পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a যুরোপীয় পণ্ডিত ও খ্রিীঃ পূঃ দ্বাদশ অথবা ত্ৰয়োদশ শতাব্দীই মহাভারতের কাল-এরূপ অভিমত প্ৰদান করিয়াছেন। শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা মহাভারতের ংশ বলিয়া চিরখ্যাত। শ্ৰীমদভগবদগীতার প্রত্যেক অধ্যায়ের শেষ ভাগে “ইতি শ্ৰীমহাভারতে শতসাহস্র্যাং সংহিতায়াং বৈয়াসিক্যাং ভীষ্মপৰ্ব্বণি শ্ৰীমদভগবদগীতাসুপনিষৎসু ব্ৰহ্মবিদ্যায়াং যোগশাস্ত্ৰে শ্ৰীকৃষ্ণাহজৰ্জ্জুনসংবাদে।” ইত্যাদি কথা লিখিত আছে। প্ৰাচীন সমস্ত পণ্ডিতগণই শ্ৰীমদভগবদগীতাকে মহাভারতের অংশ বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন। এই প্ৰাচীন মত উপেক্ষা করিবার কোন হেতু নাই। শ্ৰীমদভগবদগীতা “শ্ৰীকৃষ্ণাৰ্জ্জুনসংবাদ” নামে প্ৰাচীনকাল হইতেই অভিহিত হইতেছে। পাণিনি “বাসুদেবাৰ্জনাভ্যাং বুন” সুত্রে এই শ্ৰীকৃষ্ণাৰ্জ্জুনসংবাদকেই লক্ষ্য করিয়াছেন বলিয়া বোধ হয়। ব্ৰহ্মসূত্র শ্ৰীমদভগবদগীতার পুর্ববৰ্ত্তী। শ্ৰীমদভগবদগীতায় ব্ৰহ্মসূত্রের কথা উল্লেখ থাকা দৃষ্ট হয়,— “ব্রহ্মসূত্ৰপদৈশ্চৈব হেতুমদ্ভি বিনিশ্চিতৈ: |” ৫, ত্ৰয়োদশ অধ্যায়। “বেদান্তকৃদ্বেদবিদেবী চাহহম।” ১৫, পঞ্চদশ অধ্যায় । ব্ৰহ্মসুত্রের অন্য নাম বেদান্ত । প্ৰাচীনকাল হইতেই ব্ৰহ্মসুত্রেপদ বেদের অন্তভাগ বলিয়া গণ্য হইয়াছে। সুতরাং ব্ৰহ্মসুত্ৰ শ্ৰীমদভগবদগীতা ও মহাভারতের পূর্ববৰ্ত্তী-এ বিষয়ে সংশয় থাকিতে পারে না। ব্ৰহ্মসুত্ৰ উপনিষদনিচয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত। অতএব উপনিষদাবলী ব্ৰহ্মসূত্র অপেক্ষা অনেক প্রাচীন। সুতরাং উপনিষদাবলী খ্রিীঃ পূঃ ২০০০ বৎসরের ও পূর্ববৰ্ত্তী এরূপ অনুমান অসঙ্গত নহে। আমরা পৃথিবীর আদি গ্ৰন্থ বেদ ও জ্ঞানের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাণ্ডার উপনিযদাবলী আলোচনা করিয়া প্রদর্শন করিতে চেষ্টা করিব যে অতি প্ৰাচীন কালেই ভারতীয় ঋষিগণের সৌন্দৰ্য্যবোধ জাগ্ৰাৎ হইয়াছিল, এবং সৌন্দৰ্য্যের দর্শন ও ভারতেই সর্বপ্রথমে জন্ম পরিগ্ৰহ করিয়াছে।