পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰকৃতি ও ললিতকলা । ye. , প্ৰকৃতির শিক্ষালয়ে জ্ঞানী, মানী, ধনী, বিজ্ঞানবিৎ, দার্শনিক, কবিসকলেই উপদেশ লাভ করিয়াছেন ও করিতেছেন। এ শিক্ষালয়ের উপদেষ্ট স্বয়ং ভগবান। প্রকৃতিতে কেহ যদি সৌন্দৰ্য্য দেখিতে না পান, ইহা তাহার দুর্ভাগ্য বলিতে হইবে। চিন্তাশীল লেখক কার্লাইল এই শ্রেণীর অরসজ্ঞ ব্যক্তিকে “চক্ষুবিহীন এক জোড়া চসমা”। বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন । * প্ৰকৃতির সৌন্দৰ্য্য উপভোগ করিতে হইলে, চক্ষু থাকা চাই, অন্তরে রস থাকা চাই। অরসজ্ঞের নিকট প্ৰকৃতি তাহার মোহিনী মূৰ্ত্তি প্ৰকট করেন না। প্ৰকৃতির নিজের কোন সৌন্দৰ্য্য, নিজের কোন বিশেষত্ব নাই। প্রকৃতির অন্তঃস্থ ভূমি পুরুষই অসীম রহস্তের, সমস্ত তত্ত্বের, নিখিল সৌন্দৰ্য্যের ভাণ্ডার। শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা অন্য ভাষায় এই তত্ত্বই প্ৰকাশ করিয়াছেন,- ময়া ততমিদং সৰ্ব্বং জগদব্যক্তমূৰ্ত্তিন। মৎস্থানি সৰ্ব্বভুতানি ন চাহং তেঘবস্থিতঃ ॥ অব্যক্তরূপে আমি জগতের সর্বত্রই ব্যাপ্ত হইয়া রহিয়াছি। সমস্ত ভুতই আমাতে অবস্থিতি করিতেছে ; আমি কিছুতেই অবস্থিত নাহি। ভিক্টর কুৰ্জ্যা যথার্থই বলিয়াছেন,- “কি গভীর সাগরগর্ভে, কি উচ্চ আকাশতলে, কি বালুকণার মধ্যে, কি প্ৰকাণ্ড পৰ্ব্বত শিখরে,-উহার স্কুল আবরণ ভেদ করিয়া ভূমি পুরুষের অমৃত কিরণ সর্বত্রই বিকীর্ণ হইতেছে।” “সত্য, সুন্দর, মঙ্গল” গ্ৰন্থ। "The man who can not wonder, who does not habitually wonder (and worship), were he president of innumerable Royal Societies and carried the whole Mecanique Celste and Hegel's Philosophy and the epitome of all Laboratories and observations with their results, in his head-is but a pair of Spectacles behind which there is no Eye." Carlyle.