পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR8 সৌন্দৰ্য-তৃত্ব। যেমন বুদ্ধিবৃত্তি দ্বারা অনেক বিষয় অবগত হওয়া যায় যাহা ইক্লিয়বোধের অগোচর, সেইরূপ বিজ্ঞানচক্ষু প্ৰস্ফুটিত হইলে এমন অনেক নিগুঢ় তত্ত্ব ও পদার্থ জানাযায় যাহা বুদ্ধিবৃত্তির অগম্য। ভক্ত হাফেজ বলিয়াছেন“এ কি ব্যাপার ছিল যে গায়ক যবনিকার ভিতর বাজাইলেন, তাহাতে জ্ঞানী ও প্রেমিক একত্র নৃত্য করিতে লাগিলেন। পানিপাত্ৰদাতা এই অহিফেন যে সুরাতে মিশ্ৰিত করিলেন, তাহাতে সহযোগীদিগের না মন্তক থাকিবে, না উষ্ণীষ থাকিবে। বুদ্ধি যদিচ সৃষ্টির মধ্যে বিশেষ পদার্থ, কিন্তু স্পর্শমণি প্রেমের নিকটে তাহার মূল্য কি ?” c७न् छ्6छ । আর অধিক প্রমাণ উদ্ধৃত করা নিম্প্রয়োজন মনে করি। সমস্ত ধৰ্ম্ম-শাস্ত্ৰ আলোচনায় ইহাই প্ৰতিপন্ন হয় যে, অপ্ৰাকৃত জগতের তত্ত্ব বুদ্ধিবৃত্তি দ্বারা জানা যায় না। কোন ধৰ্ম্ম-শাস্ত্ৰ, কোন মহাপুরুষই এরূপ কথা বলেন না যে, অপ্ৰাকৃত জগতের তত্ত্ব, শাশ্বত ধামের তত্ত্ব মনোবুদ্ধির গোচর। ক্ষুদ্র কীট মনুষ্য অহঙ্কারে স্ফীত হইয়া মনে করে যে, ভূমা পুরুষকে বুদ্ধি-বৃত্তি দ্বারা জানা যায়। বস্তুতঃ বুদ্ধি-বৃত্তি সেই অপ্ৰাকৃত জগতের খবর দিতে পারে না। বুদ্ধিবৃত্তি দ্বারা ঈশ্বরকে জানা দূরে থাকুক নিজের শরীর ছাড়া আত্মাকে পৰ্য্যন্ত खना शांध की । প্ৰাণ্ডাক্ত আলোচনা দ্বারা ইহা বুঝাইতে চেষ্টা করা গেল যে, শাস্ত্ৰ ও মহাজনগণ দুইটি জগতের কথা বলেন-প্ৰাকৃত ও অপ্ৰাকৃত। প্ৰাকৃত জগৎ চিন্ত্য ও অনিত্য, অপ্রাকৃত জগৎ অচিন্ত্য ও নিত্য। বিজ্ঞান বা ভক্তি-চক্ষু প্ৰস্ফুটিত হইলে অপ্রাকৃত জগতের তত্ব জানা যায়। ... এক্ষণ প্ৰাকৃত ও অপ্ৰাকৃত জগতের সীমা নির্দেশ করা আবশ্যক।