পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌন্দৰ্য্যের স্বরূপ। asse সুমনাদি পুরুষ অনন্তকোটি বিশ্ব ব্ৰহ্মাণ্ড ধারণ করিয়া রহিয়াছেন । তাহার তুলনায় মানুষ তুমি কত ক্ষুদ্র । তুমি পৃথিবীন্থ সমুদ্র, অমৃত্যুচ্চ পৰ্বত প্রভৃতি যে সব বৃহৎ বস্তুর বৃহত্ব ধারণা করিতে অক্ষম হইতেছে, পৃথিবীর তুলনায় এই সব বৃহৎ বস্তু কত ক্ষুদ্ৰ ! তুমি যে পৃথিবীকে বৃহৎ বলিয়া মনে করিতেছি, তাহাও আনন্তের তুলনায় এক বালুকণারও সমান নহে! প্রকৃতিবিজ্ঞান কি বলে দেখুন,- “রাত্রিকালে আমরা যে সকল জ্যোতিৰ্ম্ময় তারকা দেখিতে পাই, তাহারা এক একটি সূৰ্য্য। আমাদের সূৰ্য্যও একটি ক্ষুদ্র তারকা মাত্ৰ ; অনেক তারকা ইহা অপেক্ষা বৃহত্তর। সহজ দৃষ্টিতে আমরা ছয় হাজারের অধিক তারা দেখিতে পাই না ; কিন্তু দূরবীক্ষণ-গোচর তারার সংখ্যা কয়েক কোটি। দূরবীক্ষণেরও অগোচর কত তারা জগতে রহিয়াছে কে বলিতে পারে ? এই জগৎ অতি বিশাল । আমাদের সুৰ্য্যটির আয়তন পৃথিবীর বার লক্ষ গুণ। পৃথিবী হইতে এই সুৰ্য্যের দূরত্ব নয় কোটি বিশ লক্ষ মাইল। যে কয়েকটি তারার দূরত্ব নিরূপিত হইয়াছে, তন্মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা নিকটবৰ্ত্তী তারা হইতে আলো আসিতে সওয়া চারি বৎসর অতীত হয় ; আলোকের বেগ সেকেণ্ডে এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল । পরস্পর এইরূপ কিংবা ইহা অপেক্ষাও অধিক ব্যবক্ষনে রহিয়া কত কোটি তারকা অবস্থিত আছে ; মনে কর এই জগৎ কত বড় ! দুরবীক্ষণগোচর সুদূর প্রদেশের অনেক তারকা হইতে আলোক আসিতে বহু শত বৎসর অতিক্রম হইতে পারে! এই অসংখ্যোয়। তারকার মধ্যে আমাদের তারকাকে অর্থাৎ সূৰ্য্যকে বেষ্টন করিয়া বুধ, শুক্ৰ, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, উরেনাস, নেপচুন,- এই আটটি বড় বড় গ্ৰহ, এবং বহু শত ছোট ছোট গ্রহ স্বস্ব পথে নির্দিষ্ট বেগে ভ্ৰমণ করিতেছে। আবার বৃহত্তর গ্ৰহ কতিপয়ের পার্থে কতকগুলি ।