পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RA? সৌন্দৰ্য্য-তত্ব । চাহিতে তা পানে, পশিল প্ৰশ্নৰ্ণে । बूक दिब्रिव्रा मन्द्रि। ع চাহি ছাড়াইতে, ছাড়া নহে চিতে, এখন করিব কি ? কহে চণ্ডীদাসে, শু্যাম নব রসে ঠেকিলা রাজার কি।” এই যে দুইটি রসের চিত্র পাঠকবর্গের সম্মুখে উপস্থিত করা গেল, জিজ্ঞাসা করি অনন্ত ও অনাদি পুরুষের সহিত এই সব রসের সম্বন্ধ স্থাপিত সম্ভবপর কি না ? ধীরভাবে চিন্তা করিলে দেখা যায় যে অনন্ত ব্ৰহ্মের সহিত কোন রসের সম্বন্ধই হইতে পারে না । সখ্যরসের কথা বলিতে যাইয়াই উপনিষৎ অনন্তকে সান্ত করিয়া আনিয়াছেন। তাই “দ্ব সুপর্ণ সুযজা সখায়া” বাক্য ব্যবহার করা হইয়াছে। অনন্ত সান্ত না হইলে মানুষ তঁহাকে ধরিতে পরিবে কেন ? তাহার রস, তাহার সৌন্দৰ্য্য সম্ভোগ করিতে পরিবে কেন ? ব্ৰহ্ম অনন্ত ঐশ্বৰ্য্যশালী। ব্ৰহ্মের অনস্তত্ব, ঐশ্বৰ্য্যভাব, হৃদয়ে প্রবেশ করিলে ভীতির সঞ্চার হয়, মাধুৰ্য্যভাব দূরে পলায়ন করে। শুদ্ধ প্ৰেমে শুধু মাধুৰ্য আছে, ঐশ্বৰ্য্য নাই। রসের ধারণাযোগ্য যথোচিত সন্নিবেশই প্ৰকৃত সৌন্দৰ্য্য। শ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃতে এই কথাই বলা হইয়াছে— “ঐশ্বৰ্য্য জ্ঞানপ্রাধান্যে সঙ্কুচিত প্ৰীতি । দেখিলে না মানে ঐশ্বৰ্য্য কেবলার রীতি ৷ শান্ত-দাস্যরসে ঐশ্বৰ্য্য কাই উদ্দীপন । বাৎসল্যে সখ্যে মধুর রসে সঙ্কোচন ৷ বসুদেব-দেবকীর কৃষ্ণ চরণ বন্দিল । * ঐশ্বৰ্য্য-জ্ঞানে দোহার মনে ভয় হৈল৷