পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 সৌন্দৰ্য্য-তত্ত্ব । ) ইন্দ্ৰিয়চরিতার্থতাজনিত সুখ সম্বন্ধে কবি য়থার্থই বলিয়াছেন,- “আপাতমধুর পাপ কাৰ্য্যকালে বটে। পরিণামে পরিতাপ অবশ্যই ঘটে ৷” (খ ) ইহা আমাদিগকে নিঃস্বার্থ ( disinterested ) ও অনপেক্ষ (immediate ) আনন্দ প্ৰদান করিয়া থাকে। সৌন্দর্য্যের জন্যই সুন্দর জিনিসের আদর। অন্য কোন প্রয়োজন সিদ্ধির অথবা অভাব দূরীকরণের জন্য তাহারা সমাদৃত হয় না। সৌন্দৰ্য্যের সহিত আত্মসুখের ইচ্ছা জড়িত করিলে সুন্দর বস্তুর সৌন্দৰ্য্য নষ্ট হয় । * আত্মসুখের ইচ্ছা প্রণোদিত হইয়া মানুষ সুন্দর গোলাপফুল বৃন্তচু্যত করে, সুন্দরী উপভোগের জন্য লালায়িত হয় । মনুষ্যের এই আত্মসুখের ইচ্ছার অসারত্ব দেখাইবার জন্যই যেন কবি বলিয়াছেন,- “ছু’য়ে না। ছু’য়ে না উটি লজ্জাবতী লতা একান্ত সঙ্কোচ ক’রে, একাধারে আছে স’রে, ছুয়ো না। উহার দেহ, রাখি মোর কথা ।” (গ) ইহা বিশ্বজনীন ( universal ) আনন্দের খনি। সুন্দর জিনিস এক সময়ে বহু লোককে আনন্দ প্ৰদান করিয়া থাকে । শিক্ষিত ব্যক্তিমাত্ৰই সেক্সপিয়রের কবিতা পাঠ করিয়া আনন্দ লাভ করিয়া থাকেন। সঙ্গীত বল, কাব্য বল, চিত্ৰ বল, সমস্ত সুন্দর জিনিসই বহু লোককে এক সময়ে বিমল আনন্দ প্ৰদান করিয়া থাকে। এই সার্বভৌমিকত্ব সৌন্দৰ্য্যের এক বিশেষ লক্ষণ । সুকুমার কলার বিশ্লেষণ দ্বারা সৌন্দৰ্য্যের এই কয়েকটি বিশেষত্ব নির্ণীত হইয়াছে। সৌন্দৰ্য্যে এই কয়েকটি বিশেষত্ব বর্তমান আছে-ইহা একরূপ সর্ববাদিসম্মত ।

  • “প্ৰবৃত্তিকে যদি একেবারে পুরামাত্রায় জ্বলিয়া উঠিতে দিই, তবে যে সৌন্দ