পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌন্দৰ্য্যতত্ত্ব বিষয়ে ভারতীয় পণ্ডিতগণের মত । VN) “কাব্যস্য শব্দার্থে শরীরং ব্লসাদিশ্চাত্মা গুণাঃ শৌৰ্য্যাদয়ইবা অলঙ্কারাশ্চ। কটককুণ্ডলাদিবৎ রীতিয়োহাবয়বসংস্থান বিশেষবৎ দোষাঃ কাণত্ব দিবদিতি।” সাহিত্যদর্পণোদ্ধৃত প্রাচীন আলঙ্কারিক বচন। শব্দ ও অর্থ কাব্যের শরীর, রসাদি তাহার আত্মা, গুণ শৌযাদির গ্যায়, অলঙ্কার বলয় ও কুণ্ডলাদির ন্যায়, রীতি অঙ্গসংস্থান বিশেষের ন্যায়, দোষ কাণত্বাদির ন্যায় । তাই বলিতেছিলাম রসই কাব্যের আত্মা। রসাশূন্য কাব্য কাব্য নামের অযোগ্য । কাব্যের জীবনস্বরূপ যে রস, সেই রসের স্বরূপ ও আস্বাদ সম্বন্ধে সাহিত্যদর্পণে যথা,- সত্বোদ্রোকান্দখণ্ড স্বপ্ৰকাশানন্দচিন্ময়ঃ । বেদ্যান্তর স্পর্শশুন্যে ব্ৰহ্মাস্বাদ-সহোদরঃ ॥ লোকোত্তর চমৎকার-প্ৰাণঃ কৈশ্চিৎ প্ৰমাতৃভিঃ । স্বাকারবদভিন্নত্বে নায়মাস্বাদ্যতে রসঃ ৷ তৃতীয় পরিচ্ছেদ । সত্ত্বগুণের উদ্ৰেক হেতু অখণ্ড, স্বপ্ৰকাশানন্দ, চিন্ময়, বিষয়ান্তর স্পর্শ শুন্য, ব্ৰহ্মাস্বাদতুল্য, অলৌকিক বিস্ময়স্বরূপ রস কোন কোন রসানু ভাবক কর্তৃক নিজের আকারবৎ অভিন্নরূপে আস্বাদিত হইয়া থাকে। আলঙ্কারিকগণ বলেন রস স্বপ্ৰকাশ, অখণ্ড ও চিন্ময় । সমস্ত রসের প্রস্রবণ এক । কিন্তু রস যে স্বপ্ৰকাশ ও অখণ্ড তাহা কিরূপে জানা যায়, তাহা কিরূপে সিদ্ধ হয় ? তদুত্তরে সাহিত্যদর্পণে যথা,- “রত্যাদি জ্ঞানতাদাত্ম্যাদেব যম্মাদ্ৰসে ভবেৎ। । অতোহািভ স্বপ্ৰকাশস্তত্বমখণ্ডত্বঞ্চ সিন্ধ্যাতি ৷” ১00, তৃতীয় পরিচ্ছেদ । রত্যাদি জ্ঞানের সহিত তদাত্ম্য প্ৰাপ্ত হইয়াই রিসারূপে পরিণত হয়। এই হেতু রসের স্বপ্ৰকাশিত্ব ও অখণ্ডত্ব সিদ্ধ হয়।