পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8 সৌন্দৰ্য-তত্ত্ব । আলঙ্কারিকগণের মতে রত্যাদি স্থায়িভাব রসরূপে পরিণত হয় ; রত্যাদি কিরূপে রসরূপে পরিণত হয় ? তদুত্তরে সাহিত্যদর্পণকার পণ্ডিত বিশ্বনাথ কবিরাজ বলেন,- “বিভাবোনুভাবেন, ব্যক্তিঃ সঞ্চারিণী তথা । রসন্তামেতি রত্যাদিঃ স্থায়ীভাবঃ সচেতসাম৷” সাহিত্যদর্পণ, প্ৰথম পরিচ্ছেদ । অর্থ-বিভাগ, অনুভব ও সঞ্চারী দ্বারা ব্যক্ত হইয়া সচেতা ব্যক্তিগণের রত্যাদি স্থায়ী ভাব রসতা প্ৰাপ্ত হয় । আলঙ্কারিকগণের মতে রত্যাদি স্থায়িভােবই রসরূপে ব্যক্ত হয়। রত্যাদি স্থায়িভাব কিরূপে রসরূপে ব্যক্ত হয় ? তদুত্তরে সাহিত্যদর্পণ বলেন,- “ব্যক্তো দধ্যাদি ন্যায়েন রূপান্তর পরিণতো ব্যক্তিীকৃত এব। রসো ন ত্যু দীপেন ঘট ইব পুৰ্ব্বসিদ্ধে ব্যজ্যতো।” সাহিত্যদর্পণ (৩৩৩) যেরূপ দুগ্ধ দ্রব্যান্তর সহযোগে দধিরূপে ব্যক্তীকৃত হয়, তদ্রুপ বিভাবাদি দ্বারা রত্যাদি স্থায়িভাব রসরূপে পরিণত হয়, পূর্বসিদ্ধ ঘট দীপ দ্বারা যেরূপ ব্যক্তীকৃত হয় তদ্রুপ নহে। অলঙ্কারশাস্ত্ৰমতে বিভাবাদি যোগে রত্যাদি স্থায়িভাবেই রসরূপে পরিণত হয়। তাই দেখা আবশ্যক স্থায়ী ভাব কয়টি । স্থায়িভাবের ংখ্যা সম্বন্ধে সাহিত্যদর্পণে যথা— “রতি হাঁসশচ শোকশচ, ক্ৰোধোৎসাহীে ভয়ং তথা জুগুপ্তসা বিস্ময়শ্চেখ মষ্টেী প্রোক্তাঃ শমোহপি চ ।” রীতি, হাস, শোক, ক্ৰোধ, উৎসাহ, ভয়, জুগুপসা, বিস্ময়, এবং শম।