পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V cजोन्ली-ऊङ्। এই শ্লোকের ব্যাখ্যা উপলক্ষে টীকাকার ভরত বলেন,- “চ শব্দাৎ শান্তবৎসলাবপি সংগৃহীতাবিতি কোচিৎ ৷” অমরকোষের টীকাকার মুকুট বলেন,- “বৎসলঃ পুত্ৰাদিমোহাৎ স রতিভেদ এব। শান্তস্তলৌকিকত্বান্নোক্তঃ ” টীকাকার মুকুট নাম-নিধান হইতে এই শ্লোক উদ্ধৃত করিয়াছেন,- “শৃঙ্গরবীর্যকরুণাদ্ভূত-হাস্য-ভয়ানকাঃ বীভৎস-রৌদ্রে বাৎসল্যাং শান্তশ্চেতি রস দশ ৷” অমরটীকায়া মুকুটধূত নাম-নিধানম। টীকাকারগণের মত অমরসিংহের মত বলিয়া ধরা গেলে বলিতে হয় অমরসিংহও দশটি রসেরই অস্তিত্ব স্বীকার করিয়াছেন। * পূর্বে বলা হইয়াছে, রসই কাব্যের জীবন, রসহীন কাব্য কাব্যই নয়। রসাত্মকতাই কাব্যের কাব্যত্ব । তাই সাহিত্যদর্পণকার কাব্যের এই সংজ্ঞা द्मिाCछ्न्,- “বাক্যং রসাত্মকং কাব্যম৷” রসাত্মক বাক্যই কাব্য। যে বাক্যে পূর্বকথিত দশটি রস অথবা উহার কোনটি পরিলক্ষিত হয় তাহাই কাব্য। রসগঙ্গাধর বলেন,- “আনন্দ বিশেষজনক বাক্যং কাব্যম৷” যে বাক্যদ্বারা মানসে আনন্দবিশেষের উৎপত্তি হয়, তাহাকে কাব্য বলে ।

  • কিন্তু রত্নকোষকার নয়টি রসের নাম করিয়াছেন ;-

‘শৃঙ্গার বীর বীভৎস রৌদ্র হাস্য ভয়ানকাঃ । করুণাদ্ভূত শাস্তাশ্চ নব নাট্য রাসাঃ স্মৃত: ॥” রত্নকোষ ।