এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
(২২)
তুলিত হইতে পারে না। ৭৮৪ খ্রীষ্টাব্দে সোলতান প্রথম আব্দর রহমান অশীতি সহস্র স্বর্ণমুদ্রা ব্যয়ে এই মস্জেদের পত্তন করেন। তৎপরে তাহার ধর্ম্মপ্রাণ পুত্র সোলতান হিশাম ‘নারবণ’ নগর ধ্বংস ও লুণ্ঠন করিয়া তাহার সমগ্র ঐশ্বর্য্যব্যয়ে ৭৯৭ খ্রীষ্টাব্দে এই মস্জেদের নির্ম্মাণকার্য্য সমাধা করেন। তাঁহার পরবর্তী প্রত্যেক সোলতানই এই বিরাট্ মন্দিরের আয়তন, সৌন্দর্য্য ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেন। কেহ ইহার উদ্যান সুসজ্জিত এবং ফোয়ারার সংখ্যা বৃদ্ধি করেন; কেহ ইহার প্রাচীরগুলি স্বর্ণমণ্ডিত এবং গম্বুজগুলি স্বর্ণ-কলস ও ছত্রে সুশোভিত করেন; কেহবা স্বর্ণাক্ষরে আল্কোরাণের প্রবচনাবলী অঙ্কিত করিয়া দেন; এবং কেহ কেহ ইহার আয়তন বৃদ্ধি করিয়া দেন। এই প্রকারে শতাব্দীর পর শতাব্দী এই বিরাট্ ব্রহ্ম-মন্দিরের গৌরব ও শ্রীবৃদ্ধি হইয়া ইহাকে অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়