এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
(৮৭)
গ্রাণাডার রাজদরবারে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনা সভায় দর্শনশাস্ত্রের তুমুল আলোচনা হইয়াছিল। উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিদিগের প্রায় সকলেই কোনও না কোনও শ্রেণীর দার্শনিক দলভুক্ত ছিলেন। গ্রীক ও আরব দর্শনের বিশেষ উন্নতি ও আলোচনা হইয়াছিল।
ঈশ্বরবাদ, প্রকৃতিবাদ, পরমাণুবাদ, শক্তিবাদ, সংশয়বাদ, দ্বৈতবাদ, অদ্বৈতবাদ, জড়বাদ, আত্মার বিবর্ত্তন, আত্মার বিনাশ, চির অমরতা, পাপপুণ্যের দায়িত্ব, পাপপুণ্যের অদায়িত্ব, সৃষ্টির বৈষম্য, সৃষ্টির অপূর্ণতা, প্রকৃতির চৈতন্য, প্রকৃতির অন্ধতা, মানব জাতির ক্রমোন্নতি প্রভৃতি বিষয়ে তুমুল দার্শনিক আলোচনা ও গবেষণা হইয়াছিল। দার্শনিক মত পোষণ করা এবং দার্শনিক বলিয়া দাবী করা শিক্ষিত লোকের নিকট গৌরবের বিষয় হইয়া দাড়াইয়াছিল। সাধারণ লোকেও প্রত্যেক বিষয়ের দার্শনিক তত্ত্ব