পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য হয়ে থাকে তাহলে সেটা এতবড় দীর্ঘকাল নয় যে, আমাদের অধীর হ’য়ে উঠতে হবে।” আমারও ইহাই অভিমত। আমাদের চুল পাকিয়াছে, দিলীপের পাকে নাই। আমরা উভয়ে সমস্বরে বলিতেছি, অধীর হইয়া ছট্‌ফট্‌ করা অন্যায়। পৃথিবী অত উৰ্ব্বর নয়। পঞ্চাশ যাট বছরের বেশী হয় নাই যে, ইহারই মধ্যে ছট্‌ফট্‌ করিবে ! আর যতই কেন কর না, কিছুই হইবে না সে স্পষ্টই বলিয়া দিতেছি,—ইহাতে ঝাপস কিছুই নাই । কিন্তু ইহার পরেই যে প্রমথবাবু বলিতেছেন, “যখন কোন স্রষ্ট। স্বাক্টর প্রতিভা নিয়ে আসবে, তখন সে সৃষ্টি করবেই, শৃঙ্খল ভাঙবেই, অচলায়তন ভূমিসাৎ করবেই—তাকে কেউ ঠেকিয়ে, কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না... ..." প্রমথবাবুর এ উক্তি আমি সত্য বলির স্বীকার করিতে পারি না, কারণ সংসারে কয়ট লোকে আমার নাম জানিয়াছে ? কয়ট লোক আমাকে স্বীকার করিতেছে ? ও পাড়ার মতু দত্ত যে মমু দত্ত, সে পৰ্য্যস্ত আমাকে দাবাইয়া রাখিয়াছে ! পুথিবীতে অবিচার বলিয়া কথাটা তবে আছে কেন ? যাক, এ আমার ব্যক্তিগত কথা। নিজের মুখ্যাতি নিজের মূপে করিতে আমি বড়ই লজ্জ বোধ করি । "-- কিন্তু ইহার পরেই প্রমথবাবু দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় উচ্চ-সঙ্গীত সম্বন্ধে যে সত্য ব্যক্ত করিয়াছেন, তাহা অস্বীকার করিবার সাধ্য কাহারও নাই। প্রমথবাবু বলিতেছেন, “ভারতের উচ্চ-সঙ্গীত ভাবসঙ্গত। কেবল স৷ রে গা মা পর্দা টিপে শ্রুতি-সুখকর শব্দ-পরম্পর উৎপন্ন করলেই সে সঙ্গীত হয় না। এক কথায় রাগ রাগিণীর ঠাট বা কাঠাম ভাবগত, পর্দাগত নয়।” సా\లి