ভারতীয় উচ্চ সঙ্গীত আমিও ইহাই বলি, এবং আমাদের নাগ মহাশয়েরও ঠিক তাহাই অভিমত । তিনি পঞ্চাশোর্দ্ধে লড়াইয়ের বাজারে অর্থশালী হইয়া একটা হারমোনিয়ম কিনিয়া আনিয়া নিরস্তর এই সত্যই প্রতিপন্ন করিতেছেন । তিনি স্পষ্টই বলেন, সা রে গা মা আর কিছুই নয়, সা’র পরে জোরে চেচাইলেই রে হয়, এবং আরও একটু চেচাইলে গা হয়, এবং আরও জোর করিয়া একটুখানি চেচাইলেই গলায় ম মুর বাহির হয়। খুব সম্ভব, র্তাহারও মতে উচ্চ সঙ্গীত ‘ভাবগত’, ‘পর্দাগত নয়। এবং ইহাই সপ্রমাণ করিতে হারমোনিয়মের চাবি টিপিয়া ধরিয়া নাগ মহাশয় ভাবগত হইয়া যখন উচ্চাঙ্গ-সঙ্গীতের শব্দ-পরম্পর স্বজন করিতে থাকেন, সে এক দেখিবার শুনিবার বস্তু। ত্রযুক্ত প্রমথবাবুর সঙ্গীত-তত্ত্বের সহিত র্তাহার যে এতাদৃশ মিল ছিল, আমিও এতদিন তাহ জানিতাম না। আর তখন দ্বারদেশে যে প্রকারের ভিড় জমিয়া যায় তাহাতে প্রমথবাবুর উল্লিখিত ওস্তাদজীর রেয়াজের গল্পটির সহিত এমন বর্ণে বর্ণে যে সাদৃশু আছে তাহাও লক্ষ্য করিবার বিষয়। প্রমথবাবু বলিতেছেন, “যে চালের ধ্রুপদ লুপ্তপ্রায় হয়েছ, এবং যা’ লুপ্ত হয়ে গেলেও দিলীপকুমারের মতে আক্ষেপ করবার কিছুই নেই; আমার মতে সেই হচ্চে থাটি উচুদরের ধ্রুপদ। এ ধ্রুপদের নাম খাণ্ডারবাণী ধ্রুপদ !” ঠিক তাহাই । আমারও মতে ইহাই খাট উচুদরের ধ্রুপদ । এবং, মনে হইতেছে নাগ মহাশয় সম্প্রতি এই খাণ্ডারবাণী ধ্রুপদের চচ্চাতেই নিযুক্ত আছেন। র্তাহার জয় হউক। বৈশাখের ‘ভারতী’তে দিলীপকুমার কোন ওস্তাদজীকে মল্লযোদ্ধা এবং কোন ওস্তাদজীর গলায় বেস্থরা আওয়াজ বাহির হইবার কথা ৯৭
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।