ভারতীয় উচ্চ সঙ্গীত تصر প্রাচ্য সঙ্গীতের চ’ল বা প্রকাশ-ভঙ্গীকে এতটুকু বিচিত্র করতে যাই তখনই তা একটা জগাখিচুড়ি হ’য়ে ওঠে।” কেন ? কেননা আমরা বলুচি, তা জগাখিচুড়ি হ’য়ে ওঠে । কেন ? কেননা আমরা বলচি,—একশবার বলচি, ও দু’টো তেল জলের মত পরস্পর বিরোধী । আমরা পাক চুল এবং ন্যাড়ামাথা এক সঙ্গে গলা ফাটিয়ে বলুচি ও-দু’টে। অগুরু, চন্দনের সঙ্গে ল্যাভেণ্ডার, ওডিকলোনের মত পরস্পর বিরোধী ! উঃ ! অগুরু চন্দন ও ল্যাভেণ্ডার ওডিকলেন । এত বড় যুক্তির পরে দিলীপকুমারের আর সে কি বক্তব্য থাকিতে পারে আমরা ত ভাবিয়া পাইন। { অতঃপর বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় নালিশ করিতেছেন, “খাড়া পর্দা হ’তে গাড় পর্দার উপরে সেইভাবে লাফিয়ে পড়:, যে ভাবে কোন বীরপুঙ্গব স্বর্ণলঙ্কার এক ছাদ হ’তে আর এক ছাদে লাফিয়ে পড়েছিলেন * * * * ইত্যাদি ইত্যাদি।" ইহা অতিশয় ভয়ের কথা ! এবং প্রমথবাবুর সহিত আমি একযোগে ঘোরতর আপত্তি করি। যেহেতু ছাদের উপরে নৃত্য স্বরু করিলে আমরা, যাহার। নীচে স্বনিদ্রায় মগ্ন, তাহাদের অত্যন্ত ব্যাঘাত ঘটে। তদ্ভিন্ন অন্য আশঙ্কাও কম নয়। কারণ আমরা যদিচ ন্যাড়ামাথা, কিন্তু স্বৰ্ণলঙ্কার প্রতি যিনি বিরূপ তিনি যদি বাড়ুযে মশায়ের পাক চুলকে গায়ের শাদা লোম ভাবিয়া ছাদে ছাদে লম্ফ দিতে বাধ্য করেন, ত বিপদের অবধি থাকিবে না । প্রমথবাবু কহিতেছেন, "ধ্রুপদ ও খেয়াল দুইই ভারত-সঙ্গীতের দু'টি বিচিত্র ও মৌলিক বিকাশ, কিন্তু এ দুয়ের মধ্যে ধ্রুপদই যে సెసి
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।