পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতীয় উচ্চ সঙ্গীত লোকের মুখে-মুখে শুনিতে পাই, এমন দুৰ্ব্বিনীত ছাত্রও আছে যে বলে যে, ওঁর কাছে শেখার চেয়ে বরঞ্চ প্রমথবাবুর কাছে গিয়া শিখিব । ) সে যাই হউক, কিন্তু ছাত্রদের সম্বন্ধে আমরা উভয়েই দিলীপকুমারের অভিযোগের পুনঃ পুনঃ প্রতিবাদ করি । এইরূপ হীন পন্থা আমরা কেহই অবলম্বন করিনা। উনিও না, আমিও না । আরও একটা কথা। আমাদের ওস্তাদের মুদ্রাদোষ সম্বন্ধে দিলীপকুমার যে সকল মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন, তাহ নিতান্তই অসার এবং অসঙ্গত। প্রমথবাবু যথার্থই বলিয়াছেন, “মানুষ যখন কোন একট। ভাবের আবেশে মাতোয়ার হয়ে ওঠে, তখন আর জ্ঞান থাকে না।” সত্যই তাই। জ্ঞান থাকেন । আমাদের নাগ মশায় যখন খাণ্ডারবাণী ধ্রুপদ চর্চা করেন দিলীপকুমার আসিয়া তাহা স্বচক্ষে একবার দেখিয়া যান ! বাস্তবিক, থাকেন ! কিন্তু প্রবন্ধ দীর্ঘ হইয় পড়িতেছে, আর না । বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের প্রত্যেক ছত্রটি তুলিয়া দিবার লোভ হয়, কিন্তু তাহ সম্ভবপর নহে বলিয়াই বিরত রহিলাম। র্তাহার পক্ষি-সমাজের এক ঘরে হওয়ার বিবরণটিও যেমন জ্ঞান-গর্ড, তেমনি বিস্ময়কর। শরীর রোমাঞ্চিত হইয় উঠে। পরিশেষে প্রবন্ধ সমাপ্তও করিয়াছেন তেমনি সারবান কথা বলিয়া—“আসল কথা, সকল বিষয়েই অধিকারী ভেদ আছে ।” অর্থাৎ, গান গাহিতে জানিলেই যে প্রবন্ধ লিপিতে হইবে, এবং এক কাগজে না ছাপিলে আর এক কাগজে ছাপিতেই হইবে, তাহা নয় ;—অধিকারী ভেদ আছে *

  • ভারতবর্ষ, ১৩৩১ ফান্ধন সংখ্যা হইতে গৃহীত।

So S