সাহিত্য আমি লক্ষ্য করিয়াছি যে, সাহিত্য রচনার কাজটাকে বাহুল্য মনে করিয়া যাহার। ইহার সমালোচনার কাজে মনোনিবেশ করিয়াছেন, বক্তব্য র্তাহাদের প্রধানতঃ দুইটি । অন্ত শাখা প্রশাখ। অনেক আছে,—সে কথা পরে হইবে । প্রথমে তাহারা বলেন যে, বাঙ্গলা ভাষার মত ভাষা আর কাহার আছে ? আমাদের সাহিত্য বিশ্ব-সাহিত্যে স্থান পাইয়াছে ; আমাদের সাহিত্য নোবেল প্রাইজ পাইয়াছে ; এমন কি আমাদের সহিত্য যে খুব ভালে, এ কথা বিলাতের সাহেবের পর্য্যস্ত বলিতেছে। পঞ্চাশ বৎসরের মধ্যে এত বড় উন্নতি কোন দেশ আর কবে করিয়াছে ? র্তাহীদের দ্বিতীয় বক্তব্য এই যে, বাঙ্গল সাহিত্য রসাতলে গেল,— আর বঁাচে না । আবর্জনায় বাঙ্গল সাহিত্য বোঝাই হইয়া উঠিল, আমাদের কথা কেহ শুনে না ; হায় ! হায় । বঙ্কিমচন্দ্র বাচিয়া নাই, মুগুর মারিবে কে ? ঝুড়ি ঝুড়ি নাটক নভেল ও কবিতা বাহির হইতেছে, তাহাতে সুশিক্ষা নাই—তাহ নিছক দুনীতিপূর্ণ । ইহার কুফল ও স্পষ্ট দেখা যাইতেছে । কারণ প্রত্নতত্ত্বের যে সকল বই এখনও লেখা হয় নাই, তাহার প্রতি পাঠকদিগের আগ্রহ দেখা যাইতেছে না, এবং ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি ভাল ভাল বই পাঠকদিগের ংসাহের অভাবে লেখাই হইতেছেন। অবশ্ব আমি স্বীকার করি, যে-সকল বই লেখা হয় নাই, তাহ! ন পড়িবার প্রায়শ্চিত্ত কি আমি জানি না, এবং পাঠকের আগ্রহের অভাবে যে সকল পণ্ডিত ব্যক্তিদের বই লেখা বন্ধ হইয়া আছে, ইহারই যে কি উপায় আছে তাহাও আমার গোচর নয়, কিন্তু X o 8
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।