পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য পথেই অন্তহিত হইবে। আবর্জন, চিরজীবী হইয়া_থাকে না, নিজের কাজ করিয়া সে মরে, সেই তাহার প্রয়োজন, সেই তাহার সার্থকতা। কিন্তু সেই আবর্জনার ভার বহিতে যে দিন দেশ অস্বীকার করিবে সে দিন আনন্দ করিবার দিন নহে, সে দিন দেশের দুদিন । আর এই যে একটা কথা,-ভাল ভাল বই অর্থাৎ ইতিহাস, জ্ঞানবিজ্ঞানের বই বাহির হইতেছে না, কেবল কবিতা, কেবল উপন্যাস,— এ কথার উত্তর কি কথা-সাহিত্য লেখকদের দিবার ? তাহারা বড় জোর এই কথাটাই স্মরণ করাইয়া দিতে পারে যে, বাঙ্গলা দেশের গীতাঞ্জলি বাঙ্গল দেশের ‘ঘরে বাইরে’—অর্থাৎ কথা সতিতাই বিশ্ব-সাহিত্যে আসন লাভ করিয়াছে । সম্প্রতি একটা কলরব উঠিয়াছে যে, আধুনিক উপন্যাস লেখকেরা বঙ্কিম-সাহিত্যকে ডুবাইয়া দিল । বঙ্কিম-সাহিত্য ডুবিবার নয়। স্বতরাং আশঙ্কা তাহাদের বৃথা । কিন্তু আধুনিক ঔপন্যাসিকদের বিরুদ্ধে এই যে নালিশ যে, ইহার। বঙ্কিমের ভাষ, ভাব, ধরণ-ধারণ, চরিত্রস্ষ্টি কিছুই আর অতুসরণ করিতেছে না, অতএব অপরাপ ইহাদের আমাৰ্জনীয়, ইহার জবাব নে ওয়া একটা প্রয়োজন । আমি বয়সে যদিচ প্রাচীন হইয়াছি, কিন্তু সাহিত্য ব্যবসায় ত্যাক্ত ও আমার বছর দশেক উত্তীর্ণ হয় নাই । অতএব আধুনিকদের পক্ষ হইতে উত্তর নিষ্ট ত বোধ করি অন্যায় হইবে না। অভিযোগ ইহাদের সত্য, আমি তাহা অকপটে স্বীকার করিতেছি, বঙ্কিমচন্দ্রের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা আমাদের কাহারও অপেক্ষ কম নয়, এবং সেই শ্রদ্ধার জোরেই আমরা তাহার ভাষা, ভাব পরিত্যাগ করিয়া আগে চলিতে দ্বিধা বোধ করি নাই । মিথ্য ভক্তির মোহে আমরা যদি তাহার সেই ত্রিশ > oや