সাহিত্য এখনকার দিনের পাঠকের অত্যন্ত তাকিক, তাহার গ্রন্থকারের মুখেরকথায় বিশ্বাস করিতে চাহে না, নিজে তাহার বিচার করিয়া দেখিতে চায় শৈবলিনী লোক কিরূপ ছিল, তাহার কতখানি প্রেম জন্মিয়াছিল, জন্মানে সম্ভবপৰ কিনা এবং এত বড় একট। অন্যায় করিবার পক্ষে সেই প্রেমের শক্তি যথেষ্ট কি না। প্রতাপ অতবড় একটা কাজ করিল, কিন্তু এখনকার দিনের পাঠক হয়ত অবলীলাক্রমে বলিয়া বসিবে—কি এমন আর সে করিয়াছে । শৈবলিনী পরস্বী, গুরুপত্নী,—নিজের ঘরে পাইয় তাহার প্রতি অত্যাচার করে নাই, এমন অনেকেই করে না, এবং করিলে গভীর অন্যায় করা হয়। আর তার যুদ্ধের অজুহাতে আত্মহত্য ? তাহাতে পৌরুষ থাকিতে পারে, কিন্তু কাজ ভাল নয়। ংসারের উপরে, নিজের স্ত্রীর উপরে এই যে একটা অবিচার করা হইয়াছে, আমরা তাহ পছন্দ করি না । আর তাহার মানসিক পাপের প্রায়শ্চিত্ত ? তা’ আত্মহত্যায় আবার প্রায়শ্চিত্ত কিসের ? অথচ, সেকালে আমি লোককে এই বলিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিতে শুনিয়াছি, “তুমি প্রতাপের ন্যায় আদর্শ পুরুষ হও।” মানুষের মতি গতি কি বদলাইয়াই গেছে । আর একটা চরিত্রের উল্লেখ করিয়া আমি এ প্রসঙ্গ শেষ করিব। সে 'কৃষ্ণকাস্তের উইলে'র রোহিণীর চরিত্র। এ কথা কেন তুলিলাম হয়ত তাহা অনেকেই বুঝিবেন । সে দিনের সঙ্গে এ দিনের এই গানেই একটা প্রকাগু বিচ্ছেদ ঘটিয়াছে। তাহার জীবনের অবসান হইয়াছে পিস্তলের গুলিতে। এইরূপে তাহার পাপের শাস্তি না হইলে কাণ ও খোড় হইয় তাহাকে নিশ্চয়ই কাশীর পথে পথে একটি পয়সা দাও’ বলিয়। ভিক্ষা করিয়া বেড়াইতে হইত। তার চেয়ে এ ভালই হইয়াছে, > obr
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।