সাহিত্যের রীতি ও নীতি যে-জেরার পরাক্রমে কবির যুক্তি-তর্ক রস-রচনা হইয়া গেল, সে-জেরার প্যাচে পড়িলে আমি ত এক দণ্ডও বাচিব না। কবি তবুও অব্যাপ্তি ও অতিব্যাপ্তির কোঠায় পৌঁছিয়াছেন, আমি হয়ত ব্যাপ্তি অব্যাপ্তি কোনটারই নাগাল পাইব না, ত্রিশঙ্কর ন্যায় শূন্যে বুলিয়া থাকিব ! তখন ? ভক্তরা বলে, আপনি ভীরু । আমি বলি, না । তাহারা বলে, তবে প্রমাণ করুন । আমি বলি, প্রমাণ করা কি সহজ ব্যাপার । রস-সৃষ্টি রসোদ্বোধন’ প্রভৃতির রস-বস্তুটির মত ধোয়াটে বস্তু সংসারে আর আছে না কি ? এ কেবল রস-রচনার দ্বারাই প্রমাণিত করা যায় –কিন্তু সে সময় আপাততঃ আমার হাতে নাই। এতে গেল আমার দিকের কথা । ও-দিকের কথাটা ঠিক জানিনা কিন্তু অনুমান করিতে পারি। প্রিয়পাত্ররা গিয়া কবিকে ধরিয়াছে, মশাই আমরা ত আর পারিয়া উঠি না, এবার আপনি অস্ত্র ধরুন। না না, ধনুর্বাণ নয়,—গদা । ঘুরাইয়া দিন ফেলিয়৷ ওই অতি-আধুনিক-সাহিত্যিক-পল্লীর দিকে। লক্ষ্য ? কোন প্রয়োজন নাই । ওখানে একসঙ্গে অনেকগুলি থাকে। কবির সেই গদাটাই অন্ধকারে আকাশ হইতে পড়িয়াছে। ইহাতে ঈপ্সিত লাভ না হৌক শব্দ এবং ধূলা উঠিয়াছে প্রচুর। নরেশচন্দ্র চমকিয়া জাগিয়া উঠিয়াছেন, এবং বিনীত ক্রুদ্ধ-কণ্ঠে বারম্বার প্রশ্ন করিতেছেন, কাহাকে লক্ষ্য করিয়াছেন বলুন ? কেন করিয়াছেন বলুন ? ই কি না বলুন ? రి Ես
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।