সাহিত্যের রীতি ও নীতি যে, সূতা মাত্রই__সাহিত্য হয় নু! জগুতে এমন.অনেক নোঙর_ সত্য ঘটনা আছে যে তাহাকে কেন্দ্র করিয়া কোন মতেই সাহিত্যু রচনা করা চলে না | কবির হঠাৎ চোখে পড়িয়াছে যে, সজিনা, বক, কুমড়া প্রভৃতি কয়েকট। ফুল কাব্যে স্থান পায় নাই। গোলাপ-জাম-ফুলও না, যদিচ সে, শিরীষ ফুলের সব্ববিযয়েই সমতুল্য। কারণ ? না, সেগুলে মাহুষে পায়! রায়াধর তাহদের জাত মারিয়াছে। তাই উদাহরণের জন্য ছুটিয়া গিয়াছেন গঙ্গাদেবীর মকরের কাছে । অথচ, হাতের কাছে বাদেবীর বাহন ইসি পাইয় যে মানুষে উজাড় করিয়া দিল, সে তাহার চোখে পড়িল না ! কুমুদ ফুলের বীজ হইতে ভেটের থৈ হয়, এমন যে পদ্ম তাহারও বীজ লোকে ভাজিয়া খাইতে ছাড়ে না। তিল ফুলের সহিত নাসিকার, কদলী বৃক্ষের সহিত সুন্দরীর জাতুর উপম। কাব্যে বিরল নহে । অথচ, সুপক মৰ্ত্তমান রম্ভার প্রতি বিতৃষ্ণার অপবাদ কোন কবির বিরুদ্ধেই শুনি নাই। আজ নরেশচন্দ্র বৃথাই তাহাকে স্মরণ করাইয়া দিতে গিয়াছেন যে, বিম্বফল অনেকে তরকারি রাধিয়া খায়। উত্তরে কবি কি বলিবেন জানি না, কিন্তু তাহার ভক্তর হয়ত ক্রুদ্ধ হইয়। জবাব দিবেন, খাওয়া অন্যায়। যে খায় সে সৎ-সাহিত্যের প্রতি বিদ্বেষ-বুদ্ধি বশতঃই এরূপ করে । কিন্তু এই লইয়া প্রবন্ধের কলেবর বৃদ্ধি করা নিরর্থক ! এগুলি যুক্তিও নয়, তর্কও নয়, কোন কাজেও লাগে না । অথচ, এই ধরণের গোট কয়েক এলে-মেলে। দৃষ্টান্ত আহরণ করিয়া কবি চিরদিনই জোর করিয়া বলেন, এর পরে আর সন্দেহ-ই থাকৃতে পারে না যে, আমি যা বোলুচি তাই ঠিক এবং তুমি যা বোল্চ সেটা ভুল। Y ატ&
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।