সাহিত্যের রীতি ও নীতি পাতার ফাকে ফাকে তোমার ঝিলিক্-মারা অরূপ মূৰ্ত্তিটি দেখিতে পাইতেছি, বুকের মাঝে তোমার নিঃশব্দ পদধ্বনি শুনিতে পাইতেছি, থেয়ার ঘাটে বসিয়া বসিয়া সন্ধ্যা হইয়া আসিল, কাণ্ডারি 1 এখন পার কর । ইত্যাদি। একটা উদাহরণ দিই। ভাদ্র মাসের ‘কেতকী’ পত্রিকায় গান ছাপা হইয়াছে— তোমার ভাঙার গানে তোমায় নেব চিনি পরাণ পাতি শুনবে পায়ের রিনি ঝিনি ! (তোমার) কাল বোশেৰ্থীর ঝড়ে তোমায় নেব দেখে (তোমার) শ্রাবণ ধারা অঙ্গে আমার নেব মেথে । (আমার) বকের মাঝে তোমার আঘাত চিহ্নখানি— আমার রোদনের মাঝে তোমার দৈববাণী । ভুল করে যে ভুলবো তোমায় হ’বে না তা (তোমার) আঘাত এলে কোথায় বা তার লুকাবে ব্যথা? আমার ছড়িয়ে প’ল সকল খানে— সারা বকে আমার জড়িয়ে গেল সকল হিয়৷ দুঃখে সুখে । সেথায় আমি তোমায় খুজে নেব চিনি— (আমার) পরাণ পাতি শুনবো নুপুর রিনি ঝিনি। উপরের উদ্ধৃত ইংরাজী কবিতাটির ন্যায় এ গানখানিও অনবদ্য, কি ঝঙ্কারে, কি ভাবের গভীরতায়, কি বৈরাগ্যের বেদনায় । ‘কেতকী’র তরুণ সম্পাদককে জিজ্ঞাসা করিলাম, রচয়িতার কয়স কত ? ১১৭
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।