সাহিত্যের রীতি ও নীতি নয়। তেপান্তর মাঠ এবং পক্ষীরাজ ঘোড়া লইয়া কাব্যের চলে, কিন্তু উপন্যাস-সাহিত্যের চলে না। এখানে ঘোড়ার চার পায়ে ছুটিতে হয়, পক্ষবিস্তার করিয়া উড়ার সুবিধা হয় না কবি সাহিত্য-ধৰ্ম্ম প্রবন্ধে লিপিয়াছেন,“মধ্যযুগে এক সময়ে রোপে শাস্ত্র-শাসনের খুব ङेत्र ছিল । তথন বিজ্ঞানকে সেক্ট শাসন অভিভূত করেছে। স্বর্গের চারিদিকে পৃথিবী ঘোরে একথা বলতে গেলে মুখ চেপে ধরেচিল—ভুলেছিল বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের একাধিপতা—তার সিংহাসন ধৰ্ম্মের রাজত্ব-সীমার বাইরে । আজকের দিনে তার বিপরীত হ’ল । বিজ্ঞান প্রবল ক’য়ে উঠে কোথাও আপনার সীমা মানতে চায় না। তার প্রভাব মানব-মনের সকল বিভাগেই আপন পিয়াদা পাঠিয়েছে। নুতন ক্ষমতার তকুমা পরে কোথাও সে অনধিকার প্রবেশ করতে কৃষ্ঠত হয় না। বিজ্ঞান পদার্থটা ব্যক্তি-স্বভাব-বর্জিত-তার গুই হচ্ছে সম্বন্ধে পক্ষপাত কৌতূহল । এই কৌতুহলের বেড়াজাল এখনকার সাহিত্যকেও ক্ৰমে ক্ৰমে ঘিরে ধরেচে।" কবির এই উক্তির মধ্যে বহু অভিযোগ নিহিত আছে, সুতরাং কথাগুলিকে একটুখানি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে চাই। বিজ্ঞানের প্রতি কবির হয়ত একটা স্বাভাবিক বিমুখত আছে, কিন্তু বিজ্ঞানের ক্ষেত্র বলিতে যে কি বুঝায় আমি বুঝিলাম না। বিজ্ঞান বলিতে $f so Sex-Psychology, Anatomy ol Gynaecology বুঝাইত তাহা হইলে সাহিত্যের মধ্যে ইহার অবারিত প্রবেশে আমিও বাধা দিতাম। কেবল অবাঞ্ছিত বলিয়া নয়, অহেতুক ও অসঙ্গত বলিয়া আপত্তি করিতাম। পৃথিবী স্বর্ষোর চারিপাশে ঘোরে, ইহা যত বড় কথাই হৌক, সাহিত্যের মন্দিরে ইহার প্রয়োজন গৌণ, কিন্তু যে সুবিন্যস্ত, সংযত চিন্তা-ধারার ফল এই জিনিষটি, সে চিন্তা নহিলে কাব্যের চলে চলুক, উপন্যাসের চলে না। বিজ্ঞান S)ని
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।