পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের রীতি ও নীতি এ জবাব কবিকে কে দিয়াছে জানি না, কিন্তু যে-ই দিয়া থাকৃ আমি তাহার প্রশংসা করিতে পারি না। নরেশচন্দ্র বলিতেছেন,— “......হাট জমিবার একটু চেষ্টা না হইতেছে এমন নয়। তা ছাড়া হাট জমিবার আগে হট্টগোল সাহিত্যের ইতিহাসে অনেকবার শোনা গিয়াছে। রুশো ও ভলটেয়ার লিথিয়াছিলেন বলিয়াই ফরাসী-বিপ্লবের হাট জমিয়াছিল। এবং আজ বিশ্বব্যাপী ভাব বিনিময়ের দিনে বিলাতে যেটা ঘটিয়াছে, সে সম্বন্ধে আমরা নিরপেক্ষ থাকিতে পারি কি ? যে হাট আজ পশ্চিমে বসিয়াছে তাতে আমার সওদা করিবার অধিকার কোনও প্রতীচ্যবাসীর চেয়ে কম নয়।” আধুনিক সাহিত্য সম্বন্ধে এমন স্পষ্ট কথা এমনি নিৰ্ভয়ে আর কেহ বলিয়াছেন কিনা জানি না । সাহিত্যের নানা কাজের মধ্যে একটা_কাজু হইতেছে জাতিকে গঠন করা, সকল দিক দিয়া তাহাকে উন্নত করা। Idea পশ্চিমের কি_উত্তরের ইহা বড় কথা নয়, স্বদেশের কি বিদেশের তাহাও বড় কথা নয়, বড় কথা ইহা ভাষার ও জাতির কল্যাণকর কি না। "বিদেশের আমদানী’ কথাটা মুগী খাওয়ার অপবাদ নয় যে, শুনিবা মাত্রই লজ্জায় মাথা হেট করিতে হইবে । অতএব, সাহিত্যিকের শুভবুদ্ধি যদি কল্যাণের নিমিত্তই ইহার আমদানী প্রয়োজনীয় জ্ঞান করে এমন কেহই নাই যে তাহার কণ্ঠরোধ করিতে পারে। যত মত-ভেদই থাক গায়ের জোরে রুদ্ধ করিবার চেষ্টায় মঙ্গলের চেয়ে অমঙ্গলই অধিক হয়। কিন্তু এই সকল অত্যন্ত মামুলি কথা কবিকে স্মরণ করাইয়া দিতে আমার নিজেরই লজ্জা করিতেছে। ইহা যে প্রায় অনধিকারচর্চার কোঠায় গিয়া পড়িতেছে >ミは