সাহিত্যের রীতি ও নীতি দোহাই দেওয়ার প্রয়োজন নাই, চাপ দেওয়াও অন্তয়, কিন্তু ভক্তের মুগের ধার-করা অভিমতটাকেই অসংশয়ে সত্য বলিয়া বিশ্বাস করতেই কি ন্যায়ের মর্য্যাদা ক্ষুন্ন হয় না ? - রবীন্দ্রনাথের ‘সাহিত্য-ধর্শ্বের জবাব দিয়াছেন নরেশচন্দ্র । হয়ত তাহর ধারণ অনেকের মত তিনিও একজন কবির লক্ষ্য। এ ধারণার হেতু কি আছে আমি জানি না। তাহার সকল বই আমি পড়ি নাই, মাসিকের পৃষ্ঠায় যাহা প্রকাশিত হয় তাহাই শুধু দেখিয়াছি। মতের একত। অনেক জায়গায় অতুভব করি নাই। কখনো মনে হইয়াছে নর-নারীর প্রেমের ব্যাপারে তিনি প্রচলিত সুনির্দিষ্ট রাস্ত অতিক্রম করিয়া গিয়াছেন, কিন্তু এখানেও নিজের মতকেই অভ্রান্ত বলিয়া বিবেচনা করি নাই। নরেশচন্দ্রের প্রতি অনেকেই প্রসন্ন নহেন জানি । কিন্তু, মত্ততার আত্মবিস্মৃতিতে মাধুৰ্য্যহীন রূঢ়তাকেই শক্তির লক্ষণ মনে করিয়া পালোয়ানির মাতামাতি করিতেই তিনি বই লেখেন এমন অপবাদ আমি দিতে পারি না। র্তাহার সহিত পরিচয় আমার নাই, কখনও তাহাকে দেখিয়াছি বলিয়াও স্মরণ হয় । ন, কিন্তু পাণ্ডিত্যে, জ্ঞানে, ভাষার অধিকারে, চিস্তার বিস্তারে এবং সৰ্ব্বোপরি স্বাধীন অভিমতের অকুষ্ঠিত প্রকাশে বাঙ্গল সাহিত্যে র্তাহার সমতুল্য লেখক অল্পই আছেন। বাঙ্গল সাহিত্যের অবিসম্বাদী বিচারক হিসাবে কবির কৰ্ত্তব্য ইহার সমগ্র পুস্তক পাঠ করা, কোথায় ব৷ শীলতার অভাব, কোথায় বা কাব্যলক্ষ্মীর বস্ত্রহরণে ইনি , নিযুক্ত, স্পষ্ট করিয়া দেপাইয়া দেওয়া। তবে এমনও হইতে পারে কবির লক্ষ্য নরেশচন্দ্র নহেন, আর কেহ । কিন্তু সেই ‘আর কেহর ও সব বই তাহার পড়িয়া দেখা উচিত বলিয়া মনে ჯა %
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।