পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিভাষণ আমি বল্ব না। কারণ এতবড় অতি-বিনয়ের অত্যুক্তি দিয়ে উপহাস করতে আমি নিজকেও চাইনে, আপনাদেরও না । কিছু আমি করেছি। বন্ধুরা বলবেন শুধু কিছু নয়, অনেক কিছু। তুমি অনেক করেছ । কিন্তু তাদের দলভুক্ত র্যার নন, তার হয়ত একটু - হুেসে বলবেন, অনেক নয়, তবে সামান্য কিছু করেছেন, এইটিই সত্য এবং আমরাও তাই মানি । কিন্তু তাও বলি যে, সে সামান্তের উৰ্দ্ধস্থ বুদ্ধ, আর অধঃস্থ আবর্জন বাদ দিলে অবশিষ্ট যা থাকে কালের বিচারালয়ে তার মূল্য লোভের বস্তু নয় । এ র্যার বলেন আমি তাদের প্রতিবাদ করিনে, কারণ র্তাদের কথা যে সত্য নয়, ত:’ কোন মতেই জোর করে’ বল চলে না । কিন্তু এর জন্যে অামার দুশি স্থাও নেই । ধে কাল আজও আসেনি, সেই অনাগত ভবিষ্ণুতে iমার লেখার মূল্য থাকবে, কি থাকবে না, সে আমার চিন্তার অতীত । আমার বর্তমানের সত্যোপলব্ধি যদি ভবিষ্ণুতের সত্যোপলব্ধির সঙ্গে এক হয়ে মিলতে ন পারে পথ তাকে তো ছাড়তেই হবে । তার আয়ুষ্কাল যদি শেষ হয়েই যায় সে শুধু এই জন্যেই যাবে যে, আরও বৃহৎ, আরও সুন্দর, আরও পরিপূর্ণ সাহিত্যের সৃষ্টিকাৰ্য্যে তার কঙ্কালের প্রয়োজন হয়েছে । ক্ষোভ না করে। বরঞ্চ এই প্রাপনাই জানাবো যে, আমার দেশে, আমার ভাযায় এতবড় সাহিত্যই জন্মলাভ করুক যার তুলনায় আমার লেখা যেন এক দিন অকিঞ্চিৎকর হয়েই যেতে পারে । নানা অবস্থা বিপৰ্য্যয়ে এক দিন নান ব্যক্তির সংশ্রবে আসূতে হয়েছিল । তাতে ক্ষতি যে কিছু পৌছায়নি তা নয়, কিন্তু সে দিন দেখা যাদের পেয়েছিলাম, তার সকল ক্ষতিই আমার পরিপূর্ণ করে, ১৩১