পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য আজ সে আমার কাছে নীরস । কিন্তু এ গ্রন্থের অপরাধ, কি আমার বৃদ্ধত্বের অপরাধ বলা কঠিন। অথচ এমনই পরিহাস, এমনই জগতের বদ্ধমূল সংস্কার যে, কাব্য উপন্যাসের ভাল মন্দ বিচারের শেষ ভার গিয়ে পড়ে বৃদ্ধদের পরেই। কিন্তু একি বিজ্ঞান ইতিহাস ? এ কি শুধু কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য, শুধু শিল্প যে, বয়সের দীর্ঘতাই হবে বিচার করবার সবচেয়ে বড় দাবী ? বাৰ্দ্ধক্যে নিজের জীবন যখন বিস্বাদ, কামনা যখন শুঙ্গ-প্রায়, ক্লাস্তি অবসাদে জীর্ণ দেহ যখন ভারাক্রান্ত,—নিজের জীবন যখন রসহীন, বরসের বিচারে যৌবন কি বার বার দ্বারস্থ হ’বে গিয়ে তারই ? ছেলেরা গল্প লিখে নিয়ে গিয়ে যখন আমার কাছে উপস্থিত হয়—তারা ভাবে এই বুড়ো লোকটার রায় দেওয়ার অধিকারই বুঝি সবচেয়ে বেশী। তারা জানে না যে, আমার নিজের যৌবন কালের রচনার ও আজ আমি আর বড় বিচারক নই ৷ - তাদের বলি, তোমাদের সম-বয়সের ছেলেদের গিয়ে দেখাওঁ । তারা যদি আনন্দ পায়, তাদের যদি ভালোলাগে, সেইটিই জেনো সত্য বিচার । - তার বিশ্বাস করে না, ভবে দায় এড়বার জন্যই বুঝি এ কথা বলচি। তখন নিঃশ্বাস ফেলে ভাবি, বহু যুগের সংস্কার কাটিয়ে । উঠাই কি সোজা ? সোজা নয় জানি, তবুও বলব, রসের বিচারে এইটেই সত্য বিচার। বিচারের দিক থেকে যেমন, হুষ্টির দিক থেকেও ঠিক ই এক বিধান ! হষ্টির কালটাই হ’লো যৌবনকাল—কি প্রজা স্থষ্টির দিক দিয়ে, কি সাহিত্য সৃষ্টির দিক দিয়ে । এই বয়স অতিক্রম করে’ So 8