অতীন্দ্র-সম্বৰ্দ্ধনা সামতাবেড়, পানিত্রাস কল্যাণীয়ে,- জেলা হাবড়া ভাই কালিদাস, তোমার চিঠি পেলাম। আমার একটা দুনাম আছে যে, আমি জবাব দিইনে। নেহাৎ মিথো বলতে পারিনে, কিন্তু যে বিষয়টি নিয়ে তুমি নিমন্ত্রণ পাঠিয়েছে। তারও যদি সাড়া না দিই তো শুধু যে অসৌজন্যের অপরাধ হবে তাই নয়, কোন দিক থেকেই যে বর্তনকে সমাদর করবার অংশ নিতে পারলাম না সে দুঃখের অবধি থাকৃবে না। অনেকেই জানে না যে, যতীনকে আমি সত্যই ভালবাসি । শুধু কেবল কবি বলে নয়, তার ভেতরে এম্নি একটি স্নেহ-সরস, বন্ধু-বংসল, ভদ্র মন আছে যে, তার স্পর্শে নিজের মনটাও তৃপ্তিতে ভরে আসে । যতীন্ জানেন, আমি তার কবিতার একান্ত অনুরাগী। যখন যেখানেই তাদের দেখা পাই, বার বার করে পড়ি। স্নিগ্ধ সকরুণ নিছুল ছন্দগুলি কানে কানে যেন কত-কি বলতে থাকে। কারও সম্বন্ধেই নিজের অভিমত আমি সহজে প্রকাশ করিনে, আমার সঙ্কোচ বোধ হয়। ভাবি, আমার মতামতের মূল্যই বা কি, কিন্তু যদি কখনো বলতেই হয় তো সত্যি কথাই বলি ! যতীনকে স্নেহ করি, কিন্তু স্নেহের অতিশয়োক্তি দিয়ে তাকেও খুসি করতে পারতাম না সত্যি না হ’লে । স্বাকৃ এ কথা। Ꮌ89
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।